• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

রাম কথা গ্যালারিতে ৭ডি টেকনোলজি, বড় চমক রাম মন্দিরে

বিশেষজ্ঞরা ৭ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাম কথা এবং হনুমান কথা গ্যালারিকে আধুনিক করে তুলবে। এই কাজ করছেন আইআইআইটি মাদ্রাজ।

অযোধ্যার রামমন্দির। ফাইল চিত্র

অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঘটনা ঘটছে। এবার আইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞরা রাম মন্দিরে অভিনব জিনিস তৈরি করবেন। বিশেষজ্ঞরা ৭ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাম কথা এবং হনুমান কথা গ্যালারিকে আধুনিক করে তুলবেন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এর জন্য আইআইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছে। ট্রাস্ট অযোধ্যার রামকথা যাদুঘরে রামের ওপর চারটি এবং ভগবান হনুমানের ওপর একটি গ্যালারির প্রস্তাব করেছে। রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র শনিবার জানিয়েছেন, প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে।

রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ পর্যালোচনা করতে অযোধ্যায় ছিলেন মিশ্র। ট্রাস্ট রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করা সমস্ত প্রত্নবস্তু এবং ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন বস্তু রাম কথা যাদুঘরে প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের আগস্টে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় পর এই জিনিসগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভাঙা মূর্তি, স্তম্ভ, একটি কলস, একটি খোদাই করা পাঁচ ফুট শিবলিঙ্গ এবং অন্যান্য প্রাচীন জিনিস। বিশেষজ্ঞরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সেগুলো পরিষ্কার করেছেন।

মিশ্র বলেন, এই গ্যালারিতে রাম মন্দিরের জন্য ৫০০ বছরের পুরনো যুদ্ধ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এবং রাম জন্মভূমি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্নবস্তুগুলি প্রদর্শন করা হবে। রাম মন্দিরের সমাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি রাম মন্দিরের অডিটোরিয়াম ছাড়া সমস্ত নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। খারাপ আবহাওয়ার জেরে শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাসের কারণে মন্দিরের কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে। রাম কথা যাদুঘরটি ২০১৫ সালে ১২.৩১ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত হয়েছিল। একতলা ভবনটি তিন একর জুড়ে বিস্তৃত। এতে ১৮টি ঘর রয়েছে। এই জাদুঘরে ইতিমধ্যেই রামায়ণ যুগের ১৫০টি নিদর্শন রয়েছে।

যোগী আদিত্যনাথ সরকার ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাদুঘরটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করে। রাজ্য সরকার এবং ট্রাস্টের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে জাদুঘরটি হস্তান্তর করা হয়েছিল। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এর আগে বলেছিলেন, আমরা জাদুঘরটিকে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। এর বাহ্যিক কাঠামোকে বিঘ্নিত না করেই এর সম্পূর্ণ অভ্যন্তরটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে, ট্রাস্ট রাম মন্দিরের পাশাপাশি রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সে একটি জাদুঘরের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়।