• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

আদালতের রায় জাল করে দেবোত্তর জমি বিক্রি

গৌতম সিং বলেন, "আবির আমাকে আদালতের রায়ের যে নথি দেয় তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৬০ ডেসিমেলের মধ্যে ৩০০ ডেসিমেল জমি বিক্রি করা যেতে পারে বলে রায় দিয়েছে আদালত। আদালতের থেকে সার্টিফায়েড কপি বের করে দেখা যায় আদালত শুধুমাত্র ২০০ ডেসিমেল জমি বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছেন।

প্রতীকী চিত্র

আদালতের রায় জাল করে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠল খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুর এলাকায়।  খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুরের আড়াশিনী মৌজায় রয়েছে শ্রীশ্রীসিংহবাহিনী ঠাকুরানীর মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর দুর্গাপূজা, কালী পূজা হয়। মন্দির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ জোগাড় করতে মন্দিরের নামে থাকা জে এল নং ২৪৪, খতিয়ান নং ৪৪৮ ,প্লট নং ১৭ য় ৩৬০ ডেসিমেল জমির মধ্যে কিছু জমি বিক্রি করার জন্য আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন মন্দিরের সেবায়েত নিতাই মিশ্র, গোরাচাঁদ মিশ্র, গোপালচাঁদ মিশ্র, মুকুন্দ চন্দ্র মিশ্র, ঝুমা মিশ্র, গায়ত্রী মিশ্র, শর্মিষ্ঠা মিশ্র চক্রবর্তী।

আদালত ৩৬০ ডেসিমেল জমির মধ্যে ২০০ ডেসিমেল জমি বিক্রির অনুমতি দেয় ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট। এই জমি সেবায়েতরা জনৈক আবির ভট্টাচার্যকে বিক্রি করেন। সম্প্রতি গৌতম সিং নামে এক ব্যক্তি ওই জমির মধ্যে প্রায় ৩৫ ডেসিমেল জমি কিনতে যান। গৌতম সিং বলেন, “আবির আমাকে আদালতের রায়ের যে নথি দেয় তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৬০ ডেসিমেলের মধ্যে ৩০০ ডেসিমেল জমি বিক্রি করা যেতে পারে বলে রায় দিয়েছে আদালত। আদালতের থেকে সার্টিফায়েড কপি বের করে দেখা যায় আদালত শুধুমাত্র ২০০ ডেসিমেল জমি বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছেন।

কিন্তু সেই জায়গায় আদালতের রায়ের কপিকে জাল করে ৩০০ ডেসিমেল জমি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। প্রতারিত করা হয়েছে বুঝতে পেরে আইনজীবীর মাধ্যমে আবির ভট্টাচার্যকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।” আদালতের রায়ের কপি জাল করার তথ্য সামনে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরূপ ভার্মা বলেন, ‘গর্হিত অপরাধ। আদালতের রায়ের কপি জাল করে কাউকে ঠকানো  হলে আদালতকে সেই বিষয়ে অবহিত করলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’