• facebook
  • twitter
Thursday, 12 December, 2024

বিধানসভায় মন্ত্রী চন্দ্রিমার প্রস্তাবে সমর্থন শুভেন্দু অধিকারীর

বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নয়াদিল্লিতে গিয়ে দরবার করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা।

২৯ নভেম্বর বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সমর্থন চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘আসুন না, একসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব গরিব মানুষের বাড়ি করে দিই।’ এবার এই প্রস্তাব কার্যকর করতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ফের আর্জি জানালেন শুভেন্দু।

বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নয়াদিল্লিতে গিয়ে দরবার করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘আপনারা বিধানসভার সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠান। আমরা বিরোধীরাও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করব।’ এর পাশাপাশি দমদম বিমানবন্দরে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা চালুর বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমার প্রস্তাবে সমর্থন জানান বিরোধী দলনেতা।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই আবাস যোজনায় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিকবার কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি। তাই এবার কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই আবাস যোজনার পুরো টাকা রাজ্যই দেবে বলে ঠিক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে সমীক্ষার কাজ। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

বিধানসভার অধিবেশনে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের সমালোচনায় সরব হন বিরোধীরা। অনেক ইস্যুতে বিক্ষোভ ও বয়কট করতেও দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার অন্য চিত্র ধরা পড়ল বিধানসভায়। আবাস যোজনার পাশাপাশি দমদম বিমানবন্দরে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা চালুর বিষয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রস্তাবকে সমর্থন জানান শুভেন্দু। এই আলোচনায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী অংশ নিলে ভালো হত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

সমর্থনের পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘ভারত সরকার হাসিমারাতে বিমান পরিষেবার জন্য ৩৭.৭৪ একর জমি চেয়েছে। আপনারা দেননি। দমদম বিমানবন্দরে একটি রানওয়ে তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রাজ্য সরকার কেন সহযোগিতা করছে না? মালদহতে ৯ আসন বিশিষ্ট ফ্লাইট চালু করা যায়, কিন্তু ওখানেও আপনারা সহযোগিতা করছেন না।’