• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ঈশ্বরই বাঁচাতে পারেন দেশের অর্থনীতি : চিদম্বরম

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম দেশের অর্থনীতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন একেবারে স্বয়ং ভগবানের কাছে।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (File Photo: IANS)

জেল বন্দি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বর্তমান সকারের নীতি নির্ধারণে দিশাহীনতা ও আর্থিক মন্দার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন একেবারে স্বয়ং ভগবানের কাছে। সম্প্রতি লােকসভায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লােকসভায় জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর্থিক অবস্থার বিচারে জিডিপির কোনও ভূমিকাই থাকবেনা। অন্যদিকে আর্থিক মন্দা মােকাবিলায় আমদানি শুক্ল বৃদ্ধি ও ব্যক্তিগত আয়করে হ্রাসের সিদ্ধাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী টুইটে দেশের অর্থনীতি ভগবান রক্ষা করুন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সম্প্রতি ভারতের গ্রস ডােমেস্টিক প্রােডাক্ট এর হ্রাসের হার ৪.৫ শতাংশ বলে প্রকাশ করার পর বিজেপি সাংসদ লােকসভাতেই জিডিপির কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৩৪ সালের আগে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা ছিল না।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ট্যুইটে জানিয়েছেন, চার দশকের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। কিন্তু বর্তমান সরকারের পরিচালকরা সে কথা মানতেই চাইছেন না। উল্টে আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাসের বৈজ্ঞানিক পরিমাক মানের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলছে শাসক দলের নেতানেত্রীরা। অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শাসক দলের ওই সদস্যের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়াও দেননি। তবে বুঝতে হবে তাদেরও একই মত। তারাও কি তবে জিডিপি নামক পরিমাপক মান নিয়ে সন্দিহান। তারাও কি তবে জিডিপি ব্যবস্থাটাই বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়ার মতলব করছেন?

বর্তমান শিল্পে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে, কৃষি এবং খনি উৎপাদনেও উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং কয়েকদিন আগেই দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হ্রাসে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা চরম ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। যেখানে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ আশা করা হচ্ছে সেখানে বর্তমান বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ হওয়া কখনই মেনে নেওয়া যায় না।

ইতিমধ্যেই ভারত দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের তকমা হারিয়েছে। বিশ্ব বিনিয়ােগ হার রক্ষাকারী সংস্থা ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যে দ্রুত হ্রাসপ্রাপ্ত হবে তা আগাম জানিয়েছিল। এর ফলে ২০২৪ সালে ভারতের অর্থনীতি ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ প্রবলভাবে ধাক্কা খেতে চলেছে।