তেলেঙ্গানার তরুণী পশু-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজোড়া উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার সকাল থেকে অনশনে বসতে চলেছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। সুত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর যন্তরমন্তরের সামনে তিনি অনশনে বসেছেন। স্বাতী জানিয়েছেন, ‘ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন’। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আশ্বাস দেয়, ছ’মাসের মধ্যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, তবেই তিনি উঠবেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার, ২৭ নভেম্বর রাতে পশু-চিকিৎসক ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়। তার স্কুটির চাকা পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারে তারা। পরদিন কালভার্টের নীচ থেকে আধপােড়া দেহ উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় এক ট্রাকচালকসহ চারজনকে। ধরা পড়ার পরে অভিযুক্তরা স্বীকার করে, তরুণী যাতে চিৎকার না করতে পারেন, সে জন্য তার গলায় জোর করে মদ ঢেলে দিয়েছিল। এমনকী তরুণীকে পােড়াতেও তার স্কুটির পেট্রোল ঢালা হয়েছিল। যদিও, ময়নাতদন্তের রিপাের্টে তরুণী চিকিৎসকের পেটে অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি।
নিহত তরুণীর পরিবার এই ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। অভিযােগ, বুধবার রাতে মেয়ে না ফেরায়, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ রিপাের্ট নিতে অযথা দেরি করে। নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। এও বলা হয়, দেখুন, মেয়ে কার সঙ্গে পালিয়েছে। ফলে, পুলিশে অভিযােগ দায়ের করতেই অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। শেষমেষ যখন তদন্ত শুরু হয়, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।
যদিও পুলিশ এই অভিযােগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, তারা অভিযােগ পাওয়ামাত্র তৎপর হয়ে তল্লাশি শুরু করে। দু’দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে ফেলে চার অভিযুক্তকেই।
হায়দ্রাবাদের এই ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবার অনু দুবে নামে এক তরুণী একাই সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভে বসেছিলেন। তার হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ভারতে আমি নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছি না কেন?’ পুলিশ তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। সেই ঘটনা নিয়েও সরব হন স্বাতী মালিওয়ালা।