• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর থেকে জঙ্গিদের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, জন নিরাপত্তা আইনে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলা থেকে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে জঙ্গিদের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, জন নিরাপত্তা আইনে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলা থেকে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল – বসন্তগড়ের লৌধারার মহম্মদ শফিকের স্ত্রী মরিয়মা বেগম এবং রাইচকের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী আরশাদা বেগম জানান। জামাল উদ্দিনের আগেই মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই দু’জন বিপজ্জনক ভূমিকা পালন করছিল। জঙ্গিদের লজিস্টিক সাহায্যের পাশাপাশি তাদের গাইড হিসেবে কাজ করার প্রমাণ মিলেছে ধৃত দুই মহিলার বিরুদ্ধে। দুই মহিলার কর্মকাণ্ড জন নিরাপত্তা ও শান্তির ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এবং তাদের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখতে উভয়কেই জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জন নিরাপত্তা আইন, আইনের একটি কঠোর বিধান যার অধীনে কোনও ব্যক্তিকে কোনও বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই দু’বছরের জন্য আটক রাখা যায়। গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে বিশেষ করে জম্মু অঞ্চলজুড়ে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) সহ বিভিন্ন জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো চালাচ্ছে পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী।

সম্প্রতি জম্মুর চার জেলার ৫৬টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। বড় আকারের অভিযানের ফলে বেশ কয়েকজন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার (ওজিডাব্লু) এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর পাশাপাশি বৈদ্যুতিন ডিভাইস, নথি, হিসাব বহির্ভূত নগদ অর্থ, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন, অভিযানের সময় সংগৃহীত উপাদান এবং তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালানো হচ্ছে। জম্মুর অতিরিক্ত ডিজিপি আনন্দ জৈন গত সপ্তাহে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে এমন শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে বড়সড় অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উধমপুর জেলার বসন্তগড় এলাকার ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ, যার মধ্যে রাই চক, চাকা, কদওয়াহ, মোরহা, কুন্দ, খানেদ, পোনাড়া, লৌথরা এবং সাং রয়েছে। অভিযানের বিষয়ে পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলেছে, “এই অভিযানের লক্ষ্য ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার এবং অন্যান্য সন্দেহভাজন জঙ্গি সংগঠনগুলিকে শনাক্তকরণ এবং গ্রেপ্তার করা। এরাই মূলত লজিস্টিক পরিচালনা, নিয়োগ এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং টাকা পাচারে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্য করে। বিভিন্ন এলাকায় থাকা বাড়ি, গোপন আস্তানা-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।