বাছাই পর্বের খেলার শেষে সন্তোষ ট্রফি ফুটবলে মূল পর্বে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা দল। আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে মূল পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে। বাংলার গ্রুপে রয়েছে সার্ভিসেস, মণিপুর, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং আয়োজক রাজ্য তেলেঙ্গানা। বেশ কয়েক বছর বাংলার ঘরে সন্তোষ ট্রফি শোভা পাচ্ছে না। একটা সময় সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার দাপট দেখলে ভিনরাজ্যের দলগুলি কোণঠাসা হয়ে পড়ত। বলতে দ্বিধা নেই মাঠে নামার আগেই বাংলার কাছে বিপক্ষ দলগুলি হেরেই বসে থাকত।
কিন্তু গত কয়েক বছর বাংলার ফুটবলে যে খরা নেমে এসেছে, তার ছবি সন্তোষ ট্রফিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এবারে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাংলা দল গঠন করা হয় এবং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেনকে। বাছাই পর্বের খেলাগুলি হয় কল্যাণির মাঠে। অর্থাৎ চেনা মাঠে বাংলা ভালো খেলবে, এটাই তো স্বাভাবিক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা মূলপর্বে খেলার জন্য তেলেঙ্গানায় যেতে হচ্ছে। সেখানে বাংলার সমর্থকদের হয়তো গ্যালারিতে দেখতে পাওয়া যাবে না, কিন্তু মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিতে হবে ম্যাচ জেতার জন্য।
কিন্তু অবাক হতে হয়, বাংলার বেশ কয়েকজন ফুটবলার কীভাবে খেপ খেলাতে অংশ নিচ্ছেন। সম্প্রতি হুগলি জেলার ত্রিবেণিতে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখতে পাওয়া গেল। কেউ খেলছেন সবুজ সংঘ বেলঘরিয়া, আবার কেউ নিউ রবিন অটো পেইন্টস আজাদ সংঘের হয়ে। তাঁরা নেমেছেন তারাবিহারী ভাই ভাই সংঘের ফুটবল টুর্নামেন্টে। তাঁদের মধ্যে তারক হেমব্রম, বাসুদেব মণ্ডলকে দেখতে পাওয়া গেল অন্যান্য আদিবাসী দলের হয়ে খেলতে।
এবারে সন্তোষ ট্রফিতে এই রকম আরও কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন, তাঁরা যদি এই ধরনের ফুটবলে অংশ নেন, যদি ওই খেলাতে চোট লাগে, তখন বাংলা দলের হয়ে খেলা কঠিন হয়ে পড়বে। অবশ্যই আইএফএ’র পক্ষ থেকে এঁদের নজরে রাখা উচিত। প্রয়োজনে আবাসিক শিবিরে সব খেলোয়াড়দের রেখে প্রস্তুতি নেওয়া। তা না হলে ছুটির দিন বা যে কোনও সময় ওই সব খেলোয়াড়রা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ‘খেপ’ খেলার জন্য ছুটে যান। কোচ সঞ্জয় সেনকেও এ ব্যাপারে ভারতে হবে।