• facebook
  • twitter
Friday, 20 December, 2024

জয় বাংলা’-তেও আপত্তি, জাতীয় স্লোগান খারিজ চেয়ে মামলা ইউনূস সরকারের

অনেকে মনে করছেন, মুজিবের স্মৃতি জড়িত বলেই স্লোগানটি বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিএনপি এবং জামাত-এ -ইসলামির ইন্ধন থাকা অসম্ভব নয় বলেও মনে করছেন অনেকে।

ফাইল চিত্র।

‘জয় বাংলা’। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের এই স্লোগান অগণিত মানুষের অনুপ্রেরণার কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই ইতিহাস মুছে দিতে চায় মহম্মদ ইউনূসের সরকার। এবার তাদের নিশানায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। সোমবার বাংলাদেশ সরকারের তরফে হাই কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে, ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হোক।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে এই স্লোগান নিয়ে কত কবি ,গায়ক, সাহিত্যিক যে লিখেছেন তার ইয়ত্তা নেই। সেই স্লোগানে ইউনূস সরকারের কেন আপত্তি সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি । তবে অনেকে মনে করছেন, মুজিবের স্মৃতি জড়িত বলেই স্লোগানটি বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিএনপি এবং জামাত-এ -ইসলামির ইন্ধন থাকা অসম্ভব নয় বলেও মনে করছেন অনেকে । বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সেনানায়ক তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুরের অবদান মুছে দিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন। অন্যদিকে, জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতারই বিপক্ষে ছিল। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বিরোধিতা করেছে।
এর আগে ইউনূস সরকার ১৫ অগাস্টের ছুটি বাতিল করেছে। ওই দিনটি জাতীয় শোক দিবস পালন করত আগের সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দিনটি পালনও করেনি। দিন ১০ আগে বাংলাদেশ সরকার আর একটি মামলায় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে হাই কোর্টে।
২০২০ সালে হাই কোর্টই ‘জয় বাংলা’-কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। সেই থেকে বাংলাদেশ সরকারের নথিপত্রে জয় বাংলা লেখা থাকে। সরকারি মঞ্চে বক্তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভাষণ শেষ করতেন।