আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি কোনও দলের সঙ্গে জোট বাঁধবে না। রবিবার এই ঘোষণা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে কোনও জোট হবে না। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদবও নির্বাচনে একলা চলার ঘোষণা করেছেন।
লোকসভা ভোটে দুই দল আসন সমঝোতা করেছি। কিন্তু ৭টি আসনের একটিতেও জিততে পারেনি তারা। সবকটি আসনই গেরুয়া শিবিরের দখলে যায়। গত দুটি নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দলকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই দেখবে দিল্লি।
এর আগে, কেজরিওয়াল দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সমালোচনা করেন। কেজরি অভিযোগ করেন, গত দু-তিন বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জনগণ ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে। তাঁর অভিযোগ, গ্যাংস্টারদের সঙ্গে যোগসাজশের সন্দেহে আপ বিধায়ক নরেশ বালিয়ানকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় সরকার গ্যাংস্টারদের সংকেত দিয়েছে, তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারে।
কেজরিওয়ালের দাবি, তিনিও তোলাবাজির ফোন পেয়েছিলেন এবং পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, বালিয়ানকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সরকার বার্তা দিয়েছে, গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করবে, তাঁকেই গ্রেফতার করা হবে।
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, আমি আগে বিষয়টি তুলিনি, আমি ভেবেছিলাম এটি নিয়ে রাজনীতি করার মতো কিছু নয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ। শনিবার আপের মিছিল চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। সেই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, তাঁর উপর হামলা হলে শহরের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে না।
কেজরিওয়াল বলেন, সমস্যা মোকাবিলার পরিবর্তে আমার উপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের দলের বিধায়কদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমি আশা করেছিলাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুলিশকে গ্যাংস্টার এবং ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে বলবেন, কিন্তু তা ঘটেনি।
২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছিল আম আদমি পার্টি। বাকি ৮টি আসনে জয় পায় বিজেপি। কংগ্রেস ৬৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটিতেও জিততে পারেনি।