• facebook
  • twitter
Friday, 29 November, 2024

গুজরাতে এক মাসে ৫ জন খুন, গ্রেপ্তার সিরিয়াল কিলার 

পুলিশের জালে ধরা পড়ল সিরিয়াল কিলার।  এই সিরিয়াল কিলারের টার্গেটে থাকত মূলত ট্রেনের যাত্রীরা।  সম্প্রতি  গুজরাতে ১৯ বছরের এক কলেজ পড়ুয়াকে সম্প্রতি খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত যত এগোয়, ততই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, পরিকল্পনামাফিক একের পর এক খুন করেছে ওই অপরাধী। অনেক প্রচেষ্টার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে।

পুলিশের জালে ধরা পড়ল সিরিয়াল কিলার।  এই সিরিয়াল কিলারের টার্গেটে থাকত মূলত ট্রেনের যাত্রীরা।  সম্প্রতি  গুজরাতে ১৯ বছরের এক কলেজ পড়ুয়াকে সম্প্রতি খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত যত এগোয়, ততই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, পরিকল্পনামাফিক একের পর এক খুন করেছে ওই অপরাধী। অনেক প্রচেষ্টার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ওই কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে। তারপর রেললাইনের পাশে দেহ ফেলে এসে রেলস্টেশনে বসে ফ্রুট স্যালাড খায় অভিযুক্ত। তারপর আবার ফিরে যায় রেললাইনের ধারে যেখানে তরুণীকে খুন করে ফেলে আসে  সে। সেখানে এসে মৃতদেহ ধর্ষণ করে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া যুবক একজন সিরিয়াল কিলার সে সম্পর্কে একপ্রকার নিশ্চিত তারা। 

ধৃত রাহুল ওরফে ভোলুকে জেরা করতেই সামনে আসে তার একের পর এক কীর্তি। জানা যায় মহিলাদের কৌশলে ফাঁদে ফেলত সে, ধর্ষণের পর হত্যা করত। তারপরেই দেহ পুড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ মুছে ফেলত। ঠিক পর্দায় দেখা বিভিন্ন রহস্য সিরিজের কায়দায় অপারেশন চালাত ওই যুবক।

জানা যায়, গত এক মাসে দেশের নানা প্রান্তে অন্তত পাঁচটি ধর্ষণ-খুনের অপরাধের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে আছে। মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, এমনকী বাদ নেই বাংলাও। বাংলায় এক তরুণীকে খুন-ধর্ষণ করে, তারপর হত্যা করে এক ব্যক্তিকেও। আর এই সূত্রেই উঠে আসে হাওড়াগামী কাটিহার এক্সপ্রেসে এক তবলা বাদকের খুনের ঘটনা। তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ চিহ্নিত করেছিল রাহুলকে। তবে সে যে সিরিয়াল কিলার তখন তা জানা ছিল না। 

গত সপ্তাহে সন্ধে সাতটার পর যখন ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে ঢোকে , তখন পিছনের কামরায় প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কোচে চাদর চাপা অবস্থায় তবলা বাদকের দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। তিনি বালির নিশ্চিন্দা এলাকার বাসিন্দা।  তবলা শেখাতে তিনি কাটিহার যাতায়াত করতেন।   

গুজরাত পুলিশ আরও জানতে পারে, ট্রেনের কামরায় একলা থাকা মহিলাদের টার্গেট করত সে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী কামরায় একলা মহিলা যাতায়াত করলে, তাকেই টার্গেট করত রাহুল। ট্রেনেই ধর্ষণ করে মেরে ফেলত। তারপর প্রমাণ লোপাট করত। গুজরাতের এসপি করণরাজ ভেগালা বলেন, ‘একাধিক রাজ্যের প্রায় ২ হাজার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।  রাহলের করা অপরাধগুলি একের পর এক পুলিশের খাতায় জমতে থাকলেও, তাকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক-সহ একাধিক রাজ্যে ট্রেনের যাত্রীদের ধর্ষণ, খুন, লুটপাটে লিপ্ত ছিল সে। রাহুল কখনওই কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় থাকত না অপরাধের পরে। সে ক্রমাগত ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়াত। জানা যায়, আগে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল সে। তার বিরুদ্ধে ১৩টি এফআইআরও রয়েছে।