সীমিত জায়গার মধ্যে বহুতল নির্মাণ গড়ে উঠছে শহরজুড়ে। নিয়মমাফিক কাজ না করায় অবৈধের তকমা পাচ্ছে অনেক বাড়ি। জনসংখ্যায় ঠাসা শহর কলকাতায় জমির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই আকাশছোঁয়া। তাই স্বপ্নের বাড়ি বানাতে গিয়ে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। স্বল্প পরিসরে বাড়ি বানানোর তাগিদে অনেকেই অবৈধতার খাতায় নিজের বাসস্থানকে অন্তর্ভুক্ত করছেন। বাসিন্দারা ভুগছেন অনিশ্চয়তায়। অন্যদিকে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভাও ভোগান্তির শীর্ষে পৌঁছেছে। তাই পুরসভার কর্তৃপক্ষ নাগরিক স্বার্থে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জোড়া দোকান ঘরের পাশ থেকে উঠে গিয়েছে একতলা সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই প্রথম তলায় রয়েছে রান্নাঘর আর বাথরুম। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রথম বেডরুম। তৃতীয় তলায় রয়েছে আরেকটি বেডরুম। ছাদে ঠাকুরঘর। এত কিছু রয়েছে মাত্র ৪৬৮ স্কয়ার ফুটের জমিতে। শহরের অনেক বহুতলে এই মাপের একটা ফ্ল্যাট হবে কিনা সন্দেহ। গোটা বিবরণী শুনে বাড়িটি বেআইনি মনে হলেও বাস্তবে তেমনটা নয়। গোটা টাই হচ্ছে পুরসভার অনুমতিতে। খাস কলকাতার বাঘাযতীনের ঘটনা এটি। বাড়ি মালিকের দাবি, নিচের দোকানঘর ও প্রথম দোতলার অনুমতি ইতিমধ্যেই মিলেছে। আরও একটি তলার অনুমতি মিলবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
এই সম্মন্ধে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ছোট জায়গায় হবে না বলে বেআইনি ভাবে এত দিন কাজ করা হতো। আমরা তাঁদের বলছি আপনারা কর্পোরেশনে এসে প্ল্যান জমা দিন। আইনি অনুযায়ী বাড়ি করুন। সবটাই আমরা ব্যবস্থা করে দেবো। নবান্নের কাছে নতুন একটি বিল্ডিং রুল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে সমস্যা কমবে অনেকাংশে। ছোট জায়গায় সুবিধা দেওয়া সম্ভব।’ জানা গিয়েছে, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওই বাড়ির নকশা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।