এবার কড়া পদক্ষেপের পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের নামে অধ্যাপকদের হেনস্থা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে এই বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। তিন সদস্যের কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের নির্দেশ অনুসারে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে আগেই কথা বলেছিলেন। এই ধরণের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলে দেয়। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, কারুর যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে তা তদন্ত কমিটির কাছে জানানো পারেন, তবে, ঘরে তালা দিয়ে দেওয়া বা অধ্যাপকদের হেনস্থা নিয়ে আগেও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনও সেই বক্তব্যেই আমরা অনড় থাকছি।’
যদিও পড়ুয়াদের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত অধ্যাপকদের শোকজ় করেছে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবারের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে দু’জনকেই। তবে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া বিষয়টি কোনোভাবেই অনুমোদন করেননি কর্তৃপক্ষ। জুটা-র তরফে ছাত্রছাত্রীদের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার উপাচার্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে সম্পূর্ণ রূপে বেসামাল করে তোলাই আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী দিনে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কেও বিরূপ প্রভাব পরতে পারে। এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য যে যে পদক্ষেপ নিতে হয়, সেটাই নিতে হবে।