পোস্টে হাসিনা প্রথমে লেখেন, চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মারা গিয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করি। যারা এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত তাদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনায় মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। হাসিনা আরও লেখেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে ইউনুস সরকার। যদি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না দেওয়া হয়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে তাঁদেরও শাস্তি দিতে হবে। দেশবাসীকে আমি এই ধরণের জঙ্গি কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব। দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, এই ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাই একত্রে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপর নাম না করে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি করেছেন হাসিনা। তিনি লেখেন, ‘বর্তমানে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা শাসকরা সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যর্থ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের উপর এই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্যাতনের আমি কড়া নিন্দা করি। সনাতন ধর্মের একজন শীর্ষ নেতাকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি জানাই।
হাসিনা লেখেন ,’ চট্টগ্রামে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আগে আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ , ধর্মস্থান, গির্জা, মঠ ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি সব সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।’
পোস্টে নিজের দলের নেতাদের হত্যার প্রতিবাদ করেছেন হাসিনা। আওয়ামি লিগের নেতা, কর্মী, ছাত্র, সাধারণ মানুষ, ও পুলিশকে আক্রমণ, মামলা, গ্রেপ্তার করে হেনস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। পোস্টে এর তীব্র নিন্দা করেন হাসিনা।