জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীর ১০ সহযোগী গ্রেপ্তার। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, জম্মু ডিভিশনের চারটি জেলায় ব্যাপক অভিযানের ফলে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর ১০ জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে (ওজিডব্লিউ) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কাঠুয়া জেলার মালহার, বানি, বিল্লাওয়ার এলাকা, কানা চক, হরিয়া চক, সোরাক পাইন, চক ওয়াজিরের ১৭টি জায়গায় পুলিশ ও সিআরপিএফ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালায়।
মলহার, বিল্লাওয়ার এবং বানি থানায় বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মোট তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। ১০ জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মী এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
কিছুদিন আগে জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিন বিদেশি জঙ্গি কাঠুয়া জেলার ওপরের অংশ এবং উধমপুর জেলার বসন্তগড় ও তার সীমানা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে নিহত হয়। জম্মু ডিভিশনের পুলিশ রাজৌরি, পুঞ্চ, উধমপুর এবং রিয়াসি সহ আরও বিভিন্ন জেলায় ৫৬টিরও বেশি অভিযান চালিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার (এলইটি) সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে।
সম্প্রতি লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সভাপতিত্বে দুটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে নিরাপত্তা বাহিনীকে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধে কড়া পক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। জঙ্গি ছাড়াও ওভারগ্রাউন্ড কর্মী, সহানুভূতিশীল ব্যক্তি এবং আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণা মানুষের ওপর জঙ্গি হামলার তিনটি ঘটনার পরই লেফটেন্যান্ট গভর্নর এই নির্দেশ দেন। গত ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার গাগাঙ্গির এলাকায় একটি পরিকাঠামো সংস্থার সাত কর্মীকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গত ২৪ অক্টোবর গুলমার্গের বোটাপাথরি এলাকায় জঙ্গি হামলায় তিন সেনা ও দুই অসামরিক কুলি নিহত হন। গত ২ নভেম্বর শ্রীনগরের সানডে মার্কেটে জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে এক মহিলা নিহত ও ৯ জন সাধারণ নাগরিক আহত হন।