২০১৯ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে বড়সড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল দেশবাসী। প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কয়েক লক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে লকডাউন জারি করা হয়। এমনই একটি জাপানি রোগ এখন দেশে কড়া নাড়ছে, যা বেশ বিপজ্জনক হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের মতো জাপানিজ এনসেফালাইটিসও মশার কামড়ে ছড়ায়। বার্ড ফ্লুর মতো এই রোগটিও প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, এর পুরো নাম জাপানিজ এনসেফালাইটিস ফিভার। দিল্লিতে এই রোগ আক্রান্ত একজনের হদিশ মিলেছে। রাজধানীজুড়ে জারি হয়েছে সতর্করা।
দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিডি) অনুসারে, দিল্লির পশ্চিম অঞ্চলের বান্দিপুর এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনসেফালাইটিস জ্বর বেশ বিপজ্জনক। একে মস্তিষ্কের জ্বরও বলা হয়। জাপানিজ এনসেফালাইটিস (জেই) জাপানিজ এনসেফালাইটিস ভাইরাস (জেইভি) দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল রোগ।
এই ভাইরাসটি মূলত মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া এটি পশু, পাখি এবং শূকরের মাধ্যমেও ছড়ায়। মশা যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীকে কামড়ায় এবং পরে মানুষকে কামড়ায় তাহলে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে জাপানিজ এনসেফালাইটিস জ্বরের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জাপানিজ এনসেফালাইটিসের উপসর্গ কী?
সাধারণত মশার কামড়ের ৫ থেকে ১৫ দিন পরে জাপানিজ এনসেফালাইটিসের উপসর্গ দেখা দেয়। এর মূল উপসর্গগুলি হল – জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, মাথা ব্যথা সহ বমি এবং খিঁচুনি।
কীভাবে শনাক্ত করা হয়?
সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা জাপানিজ এনসেফালাইটিস নির্ণয়ের জন্য করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় জাপানিজ এনসেফালাইটিসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা হয়। এই জ্বর মস্তিষ্কে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এতে মৃত্যুও হতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই জ্বরের বেশি ঘটনা ঘটে। এই রোগের মৃত্যুর হার বেশি এবং যারা বেঁচে থাকে, তাঁরা বিভিন্ন স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হয়।