দীপাবলি-ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে প্রতিবছরই দূষণের শীর্ষে থাকে রাজধানী শহর দিল্লি। নাভিশ্বাস উঠতে থাকে সাধারণ মানুষের। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, দূষণমাত্রায় দিল্লিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে দুর্গাপুর। দূষণ পরিমাপের সূচক একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একিউআই ছিল ৪৫৩.৮, যেখানে দিল্লির একিউআই-এর মান বর্তমানে নেমে এসেছে ৩৯৪-তে।
দুর্গাপুরে নভেম্বর মাসের গোড়ার দিক থেকেই অকল্পনীয়ভাবে বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রা। গত ১০ নভেম্বর দুর্গাপুরের একিউআই ছিল ৭৬। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার দুপুরে তা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চতে পৌঁছোয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ডিজিটাল অ্যানালাইজার থেকে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে একিউআই ছিল ৪৫৩.৮। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট চত্বরে তা ছিল ৩৯০, বিধাননগরে ৪০৫। উল্লেখ্য, সেই সময়ে দিল্লির সর্বোচ্চ একিউআই (৩৯৪) ছিল সাদিপুরে। কলকাতা শহরে ১৪৮, হাওড়াতে ৩৮৬, আসানসোলে ৩৭৭। অন্যদিকে, বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে একিউআই-এর মান ছিল ১১৯, হরিয়ানায় ২৬৯, চণ্ডীগড়ে ২৬৯।
দুর্গাপুরের বাড়তে থাকা দূষণের মাত্রা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পর্ষদের দুর্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ‘নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে কাঁকসার বামুনাড়া শিল্পতালুকের দুটি ইন্ডাকশন ফার্নেস কারখানার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত কারখানা ও আরও দুটি বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি শুরু হয়েছে। শিল্প এলাকায় কৃত্রিম ওয়াটার স্প্রিকলিং শুরু হয়েছে। এই ওয়াটার স্প্রিকলিং আরো বাড়ানো হবে।’