• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

ইসকনকে ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন বলল বাংলাদেশ

ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে আদালতে এই অবস্থান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার।

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। ছবি: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে “ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন” বলে চিহ্নিত করল বুধবার। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামানের মন্তব্য, “ইসকন এক ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন।” ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে আদালতে এই অবস্থান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। তাহলে কি পদ্মাপাড়ে নিষিদ্ধ হতে চলেছে প্রভুপাদের সংগঠন? এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উপ-মহাদেশে সরকারি ভাবে ইসকনকে এভাবে মৌলবাদী সংগঠন দেগে দেওয়া এই প্রথম। যা বিপজ্জনক প্রবণতা বলে মনে করছেন অনেকেই।
গোটা বিষয়টিই একটা সুতোয় গাঁথা বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পাশাপাশি, ইসকন ও অন্যান্য হিন্দু মন্দিরের ওপর উগ্র ইসলামিক সংগঠনগুলো আক্রমণ চালাচ্ছে।
তা ছাড়া গোটা ঘটনায় ঘি ঢেলেছে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া একটা অপ্রীতিকর ঘটনা। অভিযোগ, হিন্দু কট্টরপন্থীদের হামলায় সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে ইসকন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চায় বাংলাদেশ হাইকোর্ট। এতে অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ইসকন কোনও রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন এবং সরকার ইতিমধ্যেই তাদের উপর নজর রাখছে। আদালত তখন সরকারের অবস্থান জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধের নির্দেশ দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম,রংপুর জায়গায় জায়গায় অবরোধ বিক্ষোভ অশান্তির খবর। উঠেছে চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ছবিও সামনে এসেছে। ইসকনের তরফে ভারত সরকারকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গতকালই ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকার আবার জানিয়েছে, এই বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের মন্তব্য দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
এই অবস্থায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে। নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। বাণিজ্যিক সম্পর্কও প্রভাবিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করছে ভারত সরকার। সংসদের অভ্যন্তরেও আজ একাধিক সাংসদ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।