বাড়িতে ঢুকে বয়স্ক শাশুড়ি এবং অসুস্থ বৌমাকে মাদক খাইয়ে চুরির অভিযোগ উঠল পুরাতন ভৃত্য দম্পতির বিরুদ্ধে। পরে বাড়ির কর্তা অভিজিৎ দাস হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে প্রাক্তন পরিচারিকা সঞ্জু এবং তার স্বামী বৈদ্যনাথ সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া দু’লক্ষ টাকাও। একই সঙ্গে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ ধারায় খুনের চেষ্টাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার সোদপুর রোডের মন্দিরবাড়ি এলাকায়।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সঞ্জু একটা সময় পরিচারিকার কাজ করতো হরিদেবপুরের দাস বাড়িতে। সেই সূত্রে বাড়িতে প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়নি। অভিযোগ, শরীর কেমন আছে খোঁজ নেওয়ার অছিলায় বাড়িতে ঢুকে ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী এবং বয়স্ক শাশুড়িকে জোর করে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করা হয়। তারপর আলমারি খুলে লুট করা হয় লক্ষাধিক টাকা। পরিবার সূত্রে খবর, মা এবং স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাড়িতে প্রায় চারলক্ষ টাকা রেখেছিলেন অভিজিৎবাবু। মঙ্গলবার বিকেলে যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় বাড়ির কর্তা বাড়িতে থাকেন না। পূর্বে বাড়িতে কাজের সূত্রে তা আগে থেকেই জানা ছিল পরিচারিকা দম্পতির। সেই সুযোগেই বাড়িতে ঢুকে লুটের চেষ্টা। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে মা এবং স্ত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন অভিজিৎ। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসক ডাকতেই পরিষ্কার হয় মাদক খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করার বিষয়টি। তার পরে স্ত্রী এবং মায়ের মুখে সমস্ত বিষয় শুনে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিৎ দাস। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জু এবং বৈদ্যনাথকে। অন্যদিকে ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২ লক্ষ টাকাও।