সম্প্রতি আমেরিকার আদালত সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ এবং ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে আদানিকে। জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। অভিযোগ, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের মোট ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আদানিরা। ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে আমেরিকার আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক । এ ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে আমেরিকার বাজার থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এক বিবৃতিতে ফরাসি সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে গৌতম আদানি ও আরও দুই এক্সেকিউটিভের বিরুদ্ধে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের বরাত পেতে ভারতীয় আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করেছে ইউএস প্রশাসন। ফলে যতক্ষণ না পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠী এই অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট পাচ্ছেন , ততক্ষণ আদানি গোষ্ঠীর কোন সংস্থায় টোটাল এনার্জিস নতুন করে কোনও লগ্নি করবে না।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা তুলতে বাজারে বন্ড ছাড়ার কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর। তবে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের সেই বন্ড বাজারে ছাড়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের মামলা প্রকাশ্যে আসায় বিবৃতি দিয়ে বন্ড বাজারে আনার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় আদানি গোষ্ঠী।
গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুড্সের অভিযোগ ওঠার কারণে যাতে কোনও লগ্নিকারী ছেড়ে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে সোমবারই আদানি গোষ্ঠী জানিয়ে দেয় আগামী ২৮ মাসের ঋণ শোধ করা জন্য তাদের হাতে যথেষ্ট নগদ রয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর তরফে দাবি করা হয়েছে, আদানীদের সমস্ত সংস্থা মিলে নগদ রয়েছে ৫৩ হাজার ২৪ কোটি টাকার , যা তাদের মোট ঋণভারের ২১ শতাংশ।
অন্যদিকে আদানি গোষ্ঠীতে লগ্নি করা জিকিউজি পার্টনার জানিয়েছে, ঘুষের অভিযোগে আদানি গ্রিন এনার্জি ছাড়া আদানি গোষ্ঠীর অন্য কোন সংস্থার নাম জড়ায়নি।
প্রসঙ্গত, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকায় মমলায় অভিযুক্ত হয়েছেন গৌতম আদানি সহ ৭ জন। এরপরই প্রাথমিক ভাবে শেয়ার বাজারে ধাক্কা খেয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর স্টক। তবে এরপর পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নিয়েছে আদানি। দাবি, আদানি গোষ্ঠীর মোট ১১টি সংস্থার শেয়ার আছে বাজারে। আর তার মধ্যে কোনওটি এই মামলার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।