ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জেলায় পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল সনাতন হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি। তার রেশ আছড়ে পড়েছে এপার বাংলাতেও। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখর বঙ্গের সনাতন হিন্দুরা। চিন্ময় প্রভুকে দ্রুত মুক্তির দাবি তুলে ইউনুস সরকারকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের কথা বলেছেন তিনি। দিল্লির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু। ইউনুস সরকারকে ‘মৌলবাদী’ বলে তোপ দেগে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘চিন্ময় প্রভু ওখানে সনাতন হিন্দু সমাজের সম্মানীয় প্রতিনিধি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি লড়াই করছেন। তাঁকে দ্রুত না ছেড়ে দিলে আমরা সব পরিষেবা বন্ধ করে দেব। মনে রাখবেন, এখান থেকে কিন্তু সমস্ত পণ্য পৌঁছয় ওপার বাংলায়।’ মঙ্গলবার এনিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা, ‘চিন্ময় মহাপ্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন।
সোমবার বাংলাদেশের নিপীড়িত হিন্দুদের প্রতিনিধি ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকায়। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রতিবেশী দেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘সম্মিলিত সনাতনী জোটে’র নেতার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। আদালতে তাঁর জামিনের হয়ে সওয়াল করেন ৫১ জন আইনজীবী। আদালতে তাঁরা বলেন, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের সনাতনী জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে ঘটে চলা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বারে বারে সরব হয়েছিলেন বলেই তাঁকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হল। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের তরফে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা আনা হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু সওয়াল জবাব এদিন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুকে জামিন দেয়নি আদালত।