আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার হস্টেলের ১৮ তলা থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রের নাম আবদুর রহমান। মালদহ জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পারিবারিক এবং সম্পর্কজনিত কারণেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্র। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই আবদুর রহমান মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল সে। পারিবারিক কিছু সমস্যা চলছিল। এছাড়া বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েনও চলছিল। সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নেন তিনি। খবর পেয়ে আসে টেকনোসিটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে রেকজুয়ানি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল আবদুলের। তার জেরেই আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আবদুলের সহপাঠীদেরও প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।
সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের হস্টেলেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও সহপাঠীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন রজত রায় জানিয়েছেন, হস্টেল সুপার এবং বন্ধুদের তৎপরতায় মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ঘটনার পর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে ছাত্রীকে।