সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। আগেই জানা গেছিল, ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় প্রস্তাব আনতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এবার জানা গেল, ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় পথেও নামছে তাঁরা। আগামী ৩০ নভেম্বর সভা ডাকা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। রানি রাসমণি রোডে এই সভা হবে। এই মর্মে সংখ্যালঘু সেলকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারাফ হোসেন এই সভা করবেন। ওয়াকফ বিল নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যাপাধ্যায়, থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সরকার আদতে এই বিল এনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। বিল লাগু করে তাঁরা ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চাইছে। এর প্রতিবাদেই বিরাট জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘ওয়াকফ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবত্তর সম্পত্তি, সেটা নিয়ে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যায় করছে।’
শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্র সরকার যে ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনছে, তার বিরোধিতায় দিল্লিতে যে তৃণমূলও সরব হবে, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। তবে তার আঁচ যে বিধানসভা অধিবেশনেও হবে, তা বোঝা যায়নি। এবার তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন। সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ওয়াকফের সম্পত্তি পূর্বপুরুষ দান করে গিয়েছেছেন। ঘুরপথে, চক্রান্ত করে অগণতান্ত্রিক ভাবে আইন এনে বিজেপি তা দখল করতে চাইছে। এই চক্রান্ত সফল হবে না। প্রতিবাদে রাজপথে সংগ্রাম চলবে।’
তবে বসে নেই বিজেপিও। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ওয়াকফ নিয়ে বিল আনবে, না কি প্রস্তাব আনবে, তা এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে । তবে যা-ই আসুক, বিজেপি তার বিরোধিতাই করবে বলেই খবর।