ট্যাব-কাণ্ডে এবার নজরে উত্তরবঙ্গ। ট্যাব-কাণ্ডের ‘ভরকেন্দ্র’ উত্তর ২৪ পরগনার চোপড়া হলেও এবার শিলিগুড়ি থেকে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির তালিকায় রয়েছে এক দম্পতিও। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল শনিবার রাতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকা থেকে এই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, ওই দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। সেই সূত্র ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশের একটি বিশেষ দল শিলিগুড়ি এসে পৌঁছয় শনিবার। ধৃতদের নাম রুকসানা খাতুন এবং নজরুল ইসলাম।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই দম্পতি সম্ভবত অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন। তাঁদের শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয় ট্রানজিট রিমান্ডে পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য। একই ভাবে আলিপুরদুয়ার থেকেও এক জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার অপরাধ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম প্রবীর দাস।
এখানেই শেষ নয়, নৌকাঘাট এলাকা থেকেও এক যুবককে পাকড়াও করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মেহবুব হুসেন। জানা গিয়েছে, তিনি নৌকাঘাট এলাকারই বাসিন্দা। শিলিগুড়ির একটি সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন মেহবুব। রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই সূত্র ধরে শনিবার রাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রবিবার তাঁকেও জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয় ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, এ নিয়ে ট্যাব-কাণ্ডে অন্তত ৩৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি হাই স্কুলের ট্যাব দুর্নীতির প্রায় ৭০ হাজার টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে চলে যায়। স্কুলের পক্ষ থেকে ১৬ নভেম্বর কেশিয়াড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাটিগাড়ার লেলিনপুরের বাসিন্দা দম্পতির দুটি অ্যাকাউন্টে ৪ অক্টোবর ১০ হাজার করে মোট কুড়ি হাজার টাকা ঢোকে এবং তাঁরা পরের দিনই সেই টাকা তুলে নেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত তাঁদের তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।’ ট্যাব-কাণ্ডে এভাবেই রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় চলছে গ্রেফতারি।