বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অবিলম্বে একটি সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের। আর সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপস্থিত করানোর উদ্যোগও শুরু হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের কাছে খবর রয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী মহল ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। কর্মচারী ফেডারেশন সূত্রে খবর, সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবুজ সংকেত মিললেই সভার প্রস্তুতি শুরু হবে জোর কদমে। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই কলকাতার কোথাও সভা আয়োজন করা হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সংগঠনটি শাসকদলের সমর্থক হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, সরকারি কর্মচারীদের আয়োজিত এই সভায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারেন।
রাজ্যের একাধিক ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে নানা অসন্তোষ, তেমনি রয়েছে আরজি কর ইস্যু। সরকারি হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচারের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি যেমন বেড়েছে , তেমনই ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সভা করতে চায় তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। তাঁদের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে সেই সময় যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপস্থিত করানো যায়। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত করানোর বিষয়ে কিছু সংগঠনগত স্বার্থও রয়েছে। কারণ, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে ফেডারেশন বার্তা দিতে চায় যে , মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সংগঠনের উপর ভরসা রাখেন। এই বার্তা সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা প্রতাপ নায়ক বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছি। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের কাছে সময় চেয়েছেন। তাঁর দপ্তর সবুজ সঙ্কেত দিলেই কলকাতায় আমরা সব থেকে বড় সমাবেশে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিত করব।’
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ফেডারেশনকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সেই মতো নানা ভাবে কর্মসূচি সাজিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যসংখ্যা বর্তমানে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার। এই সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংগঠনের তরফে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা কমিটিগুলিতে অনেক রদবদলও করা হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন শাখা কমিটিগুলিকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরে ফেডারেশনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।