ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভােটের প্রচারে রাম মন্দির ইস্যুকে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করল বিজেপি। রাজ্যে প্রথম দফায় ভােটের ঠিক এক সপ্তাহ আগে রবিবার রাজ্যের বিশ্রামপুরে এক নির্বাচনী জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই সভায় তিনি বলেন, ‘অযােধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে বিশ্বের কোনও শক্তি বাধা দিতে পারবে না।
মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দু’টি মাওবাদী হানায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে এদিনের বিশ্রামপুরের সভা থেকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন রাজনাথ। একইসঙ্গে তাদের হিংসার পথ ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
অতীতের মতাে আগামীদিনেও যে কোনও নির্বাচনের প্রচারে রাম মন্দির ইস্যুকে হাতছাড়া করবে না, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা। তারই এক ঝলক দেখা গেল রাজনাথ সিংয়ের এদিনের জনসভায়।
তিনি বলেন, ‘অযােধ্যায় মহা রামমন্দির তৈরি হবে। বিশ্বের কোনও শক্তি নেই যারা আমাদের এই কাজে আমাদের রুখতে পারবে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে সমস্ত বাধা সুপ্রিম কোর্ট দুর করে দিয়েছে’। রাজনাথ যখন এই কথা বলছেন তখন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। আগামী ৩০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার ভােট।
এদিকে, রবিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে একসপ্তাহে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সােনিয়া গান্ধির দল। একইসঙ্গে গণপিটুনি রােধে আইন তৈরির কথা বলা হয়েছে তাদের নির্বাচনী ইস্তেহরে। এই মুহুর্তে ভারতের মাত্র দু’টি রাজ্যে রাজস্থান এবং মণিপুর গণপিটুনি রােধে আইন আছে।
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে কৃষক কল্যাণ, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষার মতাে বিষয়। রাজ্যের মানুষের জীবনের সামগ্রিক মানােন্নয়ন তাদের লক্ষ্য বলে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।