বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ি মাথা তুলতে পারেনি। তবে ঝাড়খণ্ডে আবার মসনদে কংগ্রেস, জেএমএম ও আরজেডি জোট। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভার আসনের উপনির্বাচনে সবগুলোতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় কংগ্রেসের গুরুত্ব হ্রাস এবং তৃণমূলের গুরুত্ব বৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। তৃণমূল নেতৃত্বেরও দাবি, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং উদ্ধবের শিবসেনার শোচনীয় হারের পর জোটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
এদিকে শুধু কংগ্রেসই নয়, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক অন্য দলগুলির থেকেও বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে মমতার রেকর্ড যে অনেক ভাল, সেটাও তুলে ধরা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত , গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুম্বই গিয়ে মমতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ আঘাড়ীর হয়ে মমতা প্রচার করবেন। কিন্তু পরে পরিস্থিতির গতিবিধি আঁচ করে তিনি সেই সিদ্ধান্ত বদলান, তা-ও তুলে ধরেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের বক্তব্য, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফলের প্রভাব জাতীয় স্তরের বিরোধী রাজনীতিতে পড়বে। আপাতত সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দলগুলির সমীকরণ কী দাঁড়ায় এ বার সেই দিকেই নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের উপনির্বাচনেও শাসকদলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি। প্রাপ্ত ভোটের বিচারে বিজেপিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। ফলে বিজেপি বিরোধিতায় বিরোধী জোটের মধ্যে গুরুত্ব বাড়ছে তৃণমূলের।