‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যুবসমাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভবিষ্যত নিয়ে যখন যুবসমাজ চিন্তাভাবনা করে, তখনই এগিয়ে যায় দেশ। ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস রেইসিং ডে-র দিন মন কি বাতের ১১৬-তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রজীবনের এনসিসি ট্রেনিংয়ের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, এই ট্রেনিং যুবসমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং নেতৃত্বদানকারী ক্ষমতা নিয়ে আসে।
মোদী বলেন, আজ এনসিসি দিবস। এনসিসি-র প্রসঙ্গ উঠলেই আমার স্কুল এবং কলেজ জীবনের কথা মনে আসে। আমিও এনসিসি ক্যাডেট ছিলাম। আমি এটা বলতে পারি যে এনসিসি ট্রেনিং যে অভিজ্ঞতা পেয়েছিল, তা অমূল্য। কোনও বিপর্যয় হোক বা বন্যা কিংবা কোনও দুর্ঘটনা এনসিসি ক্যাডেটরা সবসময় উপস্থিত থাকে। ২০২৪-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ২০ লক্ষ যুবক এনসিসি-র অংশ। আগের তুলনায় ৫০০০-এরও বেশি স্কুল এনসিসি-র অংশ। আর সবচেয়ে বড় কথা, আগে এনসিসিতে মেয়েদের সংখ্যা ২৫ শতাংশ ছিল, সেটা বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়েছে।
আগামী ১১-১২ জানুয়ারি ‘বিকশিত ভারত ইয়ং লিডারস ডায়ালগ’-এ সারা দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার যুবক অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে যুবসমাজের বড় ভূমিকা রয়েছে। যখন তরুণরা একজোট হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে, তখন আমরা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাই। আর কয়েক মাস পরেই স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২-তম জন্মবার্ষিকী, যা যুব দিবস হিসাবেও পালিত হয়। আগামী ১১-১২ জানুয়ারি দিল্লির ভারত মণ্ডপে তরুণ ভাবনার এক বিশাল সমাবেশ হতে চলেছে । এই উদ্যোগের নাম ‘বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়ালগ’।
এই অনুষ্ঠানে সারাদেশের দুই হাজার তরুণ-তরুণী অংশ নেবে। লক্ষ লক্ষ যুবককে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে দেশজুড়ে বিশেষ প্রচার চালানো হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও প্রবীণদের প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতীর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক ব্যক্তি প্রবীণদের ডিজিটাল পেমেন্টে সম্পর্কে সচেতন করেছেন। উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের এক যুবক তাঁদের পেনশনের ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহে সাহায্য করেছেন।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে কোনও বিষয় নেই, রবিবার ফের একবার তা স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মানুষকে ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে জালিয়াতরা আইন প্রয়োগকারী বা সরকারী আধিকারিকদের ছদ্মবেশ ধারণ করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে।