মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং উত্তর প্রদেশে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিনই বড় ঘোষণা করলেন মায়াবতী। বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী বলেন, সরকারি কাঠানোকে কাজে লাগিয়ে ভোট হচ্ছে, উত্তর প্রদেশে ঠিক এমনটাই হয়েছে। বিএসপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমার দল আর কোনও উপনির্বাচনে লড়বে না।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ উপনির্বাচনে লজ্জাজনক ফল হয়েছে বিএসপির। বিএসপি ৯টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল কিন্তু তারা কোথাও জয়ী হতে পারেনি। কয়েকটি আসনে মাত্র এক হাজার ভোট পেয়েছেন বিএসপি প্রার্থীরা। ৯টি আসন মিলিয়ে বিএসপি-র মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা – ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৯২৯টি। ফলে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে বিএসপি যে কোণঠাসা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি মায়াবতীর দল।
বিএসপি প্রধান বলেন, দেশে আগে নির্বাচনগুলি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে পরিচালিত হত। সেই নির্বাচনে জেতার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটত। এখন এই কাজটি ইভিএমের মাধ্যমে করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত দুঃখের ও উদ্বেগের বিষয়। শুধু তাই নয়, দেশের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে এবং বিশেষ করে উপনির্বাচনে প্রকাশ্যেই এই কাজ করা হচ্ছে।
উপনির্বাচনে না লড়লেও লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে বিএসপি লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। তাঁর মতে, এই সমস্ত নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।
পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের পাশাপাশি আদিবাদীদেরও বিএসপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মায়াবতী। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিরোধীদের তাদের ভোট ট্রান্সফার করছে কিংবা বিধায়কদের বিক্রি করছে, তাই দলিত, পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের ভাবা উচিত কাদের ভোট দেবেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের বন্ধু বিএসপিকে ভোট দেওয়া উচিত তাদের। এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা ভালো লড়াই করেছে বলে জানান মায়াবতী।
উত্তর প্রদেশ উপনির্বাচনে এবার ভালো ফল করেছে বিজেপি। ৯টি আসনের মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। একটি আসনে জয় পেয়েছে এনডিএ-র জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকদল। বাকি দুটি আসনে জয় হাসিল করেছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। গাজিয়াবাদ, ফুলপুর, খয়ের, কুন্দরকি, কাটেহরি এবং মাজওয়ান জিতেছে বিজেপি। মীরাপুর আসনে আরএলডি জিতেছে। সপা কারহাল এবং সিসামাউ আসন দখল করেছে।