নিখোঁজ শিশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য হুগলির বলাগড়ে। শনিবার বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিশু খুনের নেপথ্যে তন্ত্র-যোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় বাড়ির কাছ থেকেই চার বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার ভোরে বাড়ির শৌচালয় থেকেই উদ্ধার হল চার বছরের শিশুর দেহ। এই মৃত্যু কীভাবে হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উদ্ধার করা শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকাল বাড়ি সামনে শিশুটি খেলছিল। সেখান থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পুলিশ কুকুর এনে, ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চলে। কিন্তু ওই শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল তান্ত্রিকের কাছে যান শিশুর ঠাকুরদা-ঠাকুরমা। ফলে তন্ত্রসাধনার সঙ্গে শিশুটির মৃত্যুর কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার সকালে বাড়ির পাশেই শৌচাগারে নাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন ঠাকুরদা। ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও জেঠিমার বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের আটক পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুর মা-বাবার সঙ্গে ঠাকুরদা-ঠাকুমা-জেঠিমার সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেই কারণেই খুন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার শিশুটির বাড়িয়ে যান হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার, ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র। শিশুর সন্ধান পাওয়ার জন্য হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও পোস্ট করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সন্দেহ, বাড়ির ভিতরেই কিছু ঘটে থাকতে পারে।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার জানান, গুপ্তিপাড়ায় এক শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছিল। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর এদিন সকালে বাড়ির শৌচাগার থেকে দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে দেখা হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবারের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে মৃত্যুর কী যোগ তা স্পষ্ট নয়।