• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আইপিএল ক্রিকেটে নিলামে বুড়ো ক্রিকেটারদেরও দর বাড়বে

এবার তাঁকে দলে রাখা হয়নি। ৪০ বছর বয়সি তারকার ঝুলিতে আছে দুটি আইপিএল ট্রফি। দুটিই জিতেছিলেন চেন্নাইয়ের জার্সিতে। এর মধ্যে ২০২১-এর ফাইনালের সেরাও হয়েছিলেন ফ্যাফ। বয়স হলেও ফিটনেসে বিন্দুমাত্র মরচে ধরেনি। ব্যাটের ধরনও আগ্রাসী।

ফাইল চিত্র

এবারে আইপিএল ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের কিনে নেবার জন্য টেবিলে ঝড় উঠতে পারে। শুধু তরুণ ক্রিকেটার নন বুড়ো ক্রিকেটারদেরও পছন্দের তালিকায় উঠে আসতে পারবেন। তরুণ রক্ত, যৌবনের দাপট! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তারুণ্যের লড়াই বলে ধরা হত। সেই ধারণা ভেঙে গিয়েছে বুড়ো ঘোড়াদের দাপটে। যদি শুধু আইপিএলের কথাই ধরা হয়, তাহলে দেখা যাবে ‘ড্যাডিস আর্মি’ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর প্রত্যেকটা দলেই এমন অনেক ‘বয়স্ক’ ক্রিকেটার আছেন বা ছিলেন, তাঁরা অভিজ্ঞতার জেরে ম্যাচ জিতিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এবারও আইপিএল অকশনে টানাটানি পড়তে পারে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রথমেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

আইপিএলের দুনিয়ায় বহু যুদ্ধের সৈনিক। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেখানে দীর্ঘদিন খেলেছেন। তার পর অধুনালুপ্ত রাইজিং সুপার জায়ান্টস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, দিল্লি ক্যাপিটালস, রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে বহু ম্যাচ খেলেছেন। সামলেছেন নেতৃত্বের দায়িত্বও। ৩৮ বছর বয়সি তারকা স্পিনঘূর্ণিতে যেমন বিপক্ষকে ফাঁদে ফেলতে পারেন, তেমনই প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে পারেন। এবার তাঁর বেস প্রাইজ ২ কোটি। চেন্নাই-সহ অনেক দলের নজর থাকতে পারেন তিনি।

তারপরে যে নামটি নিয়ে সবার মুখেমুখে ঘুরছে তিনি হলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৪২ বছরের ‘বুড়ো ঘোড়া’ জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি বোলার এই বছরই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আর তার পরই নাম লিখিয়েছেন আইপিএলের আসরে। এবার তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার। মজার বিষয়, এর আগে কখনই তিনি আইপিএল নিলামে অংশগ্রহণ করেননি। আর অবসরের পরই নাম লেখালেন আইপিএল নিলামে। নিজের জন্য ন্যূনতম মূল্য রেখেছেন ১.২৫ কোটি।

পাশাপাশি ফ্যাফ ডু’প্লেসিসের নামটা বড় করে দেখা দিয়েছে। গতবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। কিন্তু এবার তাঁকে দলে রাখা হয়নি। ৪০ বছর বয়সি তারকার ঝুলিতে আছে দুটি আইপিএল ট্রফি। দুটিই জিতেছিলেন চেন্নাইয়ের জার্সিতে। এর মধ্যে ২০২১-এর ফাইনালের সেরাও হয়েছিলেন ফ্যাফ। বয়স হলেও ফিটনেসে বিন্দুমাত্র মরচে ধরেনি। ব্যাটের ধরনও আগ্রাসী। নিলামে ওপেনার খুঁজছে অনেক দল। তাদের জন্য বিকল্প হতে পারেন ফ্যাফ।

এদের মধ্যে আবার মহম্মদ নবি নিলামে বড় জায়গা পেতে পারেন। সাম্প্রতিক অতীতে আইপিএলে আফগান ক্রিকেটারদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। এর শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে মহম্মদ নবি আর রশিদ খানের হাত ধরে। এঁদের মধ্যে নবির বয়স ৩৯। সদ্য জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেবেন। কিন্তু ব্যাটে-বলে এখনও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন তিনি। নীচের তলার ব্যাটিং সামলে দিতে পারেন। স্পিন অস্ত্রে ঘায়েল করতে পারেন বিপক্ষকে। সারা বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন। গত মরশুমেও মুম্বইয়ের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন।

বয়স হয়েছে বলে ডেভিড ওয়ার্নারের নামটা ফেলে দেওয়া যাবে না। তাঁর ব্যাটে আগুন নেভেনি। এখনও ওপেনিংয়ে নেমে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার। আগ্রাসন হোক বা ফিল্ডিং, এখনও সমানতালে পাল্লা দিতে পারেন তিনি। তিনবার আইপিএলের ওরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন। দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সি তারকা। ২০১৬-এ আইপিএল জিতেছেন। এবার আরসিবি, পাঞ্জাবের মতো দল টার্গেট করতে পারে ওয়ার্নারকে।

সেই কারণে অভিজ্ঞ ও বয়স্ক খেলোয়াড়দের প্রতি এবারে মেগা নিলামে অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন তাঁদের কিনে নেবার জন্য। এখন অপেক্ষা শুধু।