দীর্ঘ অসুস্থতার পর অবশেষে প্রয়াত হলেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। কিছুদিন আগেই তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। সেসময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেত্রীর মা। কিন্তু চিকিৎসার পরেও শেষ রক্ষা হয় নি। শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
ঋতুপর্ণার আপ্ত সহায়ক শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে এই মৃত্যুর খবর দেন। আচমকা মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোকগ্রস্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। তিনি মায়ের শোকে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। খবর পেয়ে ঋতুপর্ণার ভাই চলে আসেন। মুম্বই থেকে ঋতুপর্ণার মাসতুতো বোনও ছুটে আসেন। আসেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও। এদিকে ঋতুপর্ণার মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা দিয়েছেন স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী। ঋতুপর্ণার ছেলে অঙ্কন এই সংবাদ জেনেও আসতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে। তিনি এখন বস্টনে। সেখানে পড়াশুনায় ব্যস্ত আছেন। সেজন্য ভিডিও কলে দিদাকে শেষ দেখা দেখেছেন।
জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর মাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নন্দিতা সেনগুপ্ত। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালিসিসও চলছিল। তাঁর প্লেটলেট রক্তচাপ কমে যায়। এছাড়া আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অক্টোবরে হাসপাতালে তাঁকে ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয়। ঋতুপর্ণা নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য দিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই ঋতুপর্ণা শুধুমাত্র কাজের সময়টুকু বাদে প্রায় সারাক্ষণ মায়ের কাছে থাকতেন। মাঝে দুদিন জরুরি কাজে কলকাতার বাইরে ছিলেন। আর তারপরই এই ঘটনায় একপ্রকার বাকরুদ্ধ অভিনেত্রী। কারণ তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি মায়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।