• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, ৬ মাস পর গ্রেপ্তার দুই বিজেপি কর্মী

চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে টাকা ও সোনার চেন ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হল দুই যুবক।

প্রতীকী চিত্র

চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে টাকা ও সোনার চেন ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হল দুই যুবক। প্রায় মাস ছয়েক আগে ওই ছিনতাই এর ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ এলাকায়। অভিযোগ পেলেও বর্ধমান থানার পুলিশ সেই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে পারছিল না। শেষ পর্যাপ্ত খোসবাগান এলাকার রানীসায়ের পশ্চিমপাড় থেকে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। দু’জনই বিজেপি দলের কর্মী বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শান্তনু চট্টোপাধ্যায় ওরফে ঝাকু ও টোটন ভকত। ঝাকুর বাড়ি বর্ধমান থানার গোদা বেনেপুকুর পাড় এলাকায়, অন্যদিকে টোটন লাকুর্ডির বিটি কলেজ চন্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিঞ্জসাবাদে ধৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে মুন্না সাউ ও কাপিস দাস নামে আরও দু’জন ছিল বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে। ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। চুরি যাওয়া টাকা ও সোনার চেন উদ্ধারের জন্য এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তার করতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় আলমগঞ্জ এলাকার এক গুড় ব্যবসায়ী মনোজিৎ দে তাঁর দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে ব্যাগে টাকা নিয়ে বাইকে রওনা দেন। মুন্না সাউ ফোন করে কাপিস দাসকে সেই কথা জানিয়ে দেয়। কাপিস, ঝাকু ও টোটন একটি বাইক নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ির অদূরেই অপেক্ষা করছিল। মনোজিৎ বাড়ির কাছে আসতেই চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যাগে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ছাড়াও ওই ব্যাবসায়ীর গলার সোনার চেন খুলে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

খবর পেয়ে বর্ধমান থানার আইসি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার বিষয় খতিয়ে দেখেন। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী মনোজিৎবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনার প্রায় ৬ মাস পর অবশেষে বর্ধমান থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল। এদিকে এই চুরির ঘটনায় ধৃত ও পলাতক চারজনই বিজেপির ঘনিষ্ঠ ও সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস।

তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি পার্টির সক্রিয় কর্মীরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হবার পরই জেলা সভাপতি নাকি মুখ লুকোতে ব্যস্ত। এমনকি সংবাদ মাধ্যমের সামনেও আসতে নাকি তিনি লজ্জা পাচ্ছেন। এটাই বিজেপি দলের কর্মীদের চরিত্র। অন্যদিকে বিজেপির জেলার মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কেউ বিজেপি করতে পারে। তা বলে কেউ যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তার বিরুদ্ধে আইন আইনের পথে চলবে।