রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে উত্তেজনা ছড়ালো বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকে গেটের কাচ, চেয়ার-টেবিল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে রোগীর পরিচিতেরা। স্টোর রুমে থাকা ওষুধ ও ইঞ্জেকশন মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং তিন নার্সকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা মেহেবুব আলম (৩০) বুকে ব্যথা নিয়ে শুক্রবার রাত ৮টা ২০ নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে চিকিৎসা চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপরেই মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মেহেবুবের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা।
অভিযোগ, ক্রমেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের হাসপাতালের ভিতরে। অন্যদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের দাবি, রাতে মেহেবুবের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়, যা আদালতের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া সম্ভব নয় জানানোর পরেই হাসপাতাল চত্বরে কয়েকশো লোক জমায়েত হয়।
ইমারজেন্সি অবজার্ভেশন ওয়ার্ডেও রোগীর আত্মীয়রা ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ হাসপাতালের তরফ থেকে। শুধু তাই নয়, মারধর করা হয় নার্সিং স্টাফদেরও। ঘটনায় তিনজন নার্সিং স্টাফের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। অন্যদিকে ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বেড ছেড়ে চলে যান রোগীরাও। দু’জনকে স্থানান্তর করা হয় অন্যত্রও।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঝামেলার মধ্যেই মৃত্যু হয় বছর ৮৫-র চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধা শান্তি সিনহার। পরে হাসপাতালে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হাসপাতালে ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত স্টাফকে মারধরের অভিযোগে আটক করা হয় ২২ জনকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও আছে বলে খবর।