• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র স্রষ্টা অরুণ চক্রবর্তী প্রয়াত

প্রয়াত ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র স্রষ্টা কবি অরুণ চক্রবর্তী। শুক্রবার গভীর রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

প্রয়াত ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র স্রষ্টা কবি অরুণ চক্রবর্তী। শুক্রবার গভীর রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন শিল্পী। চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের বাড়ি ‘সোনাঝুরি’ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অরুণ।

কবির বৌমা সুদেষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শারীরিক ভাবে সুস্থ ছিলেন অরুণ চক্রবর্তী। গত শুক্রবার তিনি কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সামান্য ঠান্ডা লেগেছিল। করোনার পর থেকেই তাঁর ফুসফুসে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্রবধূ এবং নাতিরা রয়েছেন।

হিন্দুস্তান মোটরে চাকরি করতেন অরুণ চক্রবর্তী। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র অরুণ ছোট থেকেই লেখালিখিও করতেন। পাহাড়, জঙ্গল এবং আদিবাসী এলাকায় সুযোগ পেলেই চলে যেতেন। তাঁর লেখা ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ গানটি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয়।

‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ গানে গীতিকার অরুণ চক্রবর্তী। ঝুমুর গায়ক সুভাষ চক্রবর্তী এই রচনাটিতে সুরারোপ করেন। ১৯৭৯ সালে প্রচলিত সুরে ভি বালসারার ব্যবস্থাপনায় সুভাষ চক্রবর্তী গানটি রেকর্ড করেন। গত বছররের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছিলেন সঙ্গীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। এবার প্রয়াত হলেন অরুণ চক্রবর্তী।

পোশাক-পরিচ্ছদেও বৈচিত্র ছিল অরুণের। মাথায় বাঁধতেন রঙিন রুমাল। স্যান্টাক্লজের মতো লাল পোশাক পরতেন। তাঁর ঝোলা চকোলেট থাকত সব সময়ই। চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনের মুক্তমঞ্চে শায়িত থাকবে কবির দেহ। অনুরাগী সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁকে। শ্যামবাবুর ঘাটে কবি অরুণ চক্রবর্তীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।