বৃহস্পতিবার নবান্নে পুলিশের নিচুতলার একাংশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা। তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একটি অংশ। তাঁর কথায়, “সিআইএসএফের একাংশ বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে— এটা আমি হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এবং এই মন্তব্যের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। তার শুরুটা হয়েছে বারাবনি থানার এসআইকে দিয়ে। এ বার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা আইসি পার্থ ঘোষকে ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’- এ পাঠানো হল। শুক্রবার এই মর্মে ভবানী ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শনিবারই পার্থকে রিপোর্ট করতে হবে ভবানী ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর এর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে পুলিশ। এ বার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পদক্ষেপ করা হল আর এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।