তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে এই বৈঠক হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি সহ অন্যান্য নেতারা। আর মাত্র দেড় বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনে ভালো ফলের লক্ষ্যে সময় থাকতেই কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চায় জোড়াফুল শিবির। বৈঠকে ভোটের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর কিছুদিন পরেই লোকসভা ও বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। লোকসভায় দলের সংসদরা কীভাবে কাজ করবেন, তা কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হতে পারে। এছাড়া রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন নিয়েও তৃণমূলের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে কংগ্রেসের কয়েকজন প্রথম সারির নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। লোকসভায় বিজেপিকে চাপে রাখায় মূল লক্ষ্য তৃণমূল সুপ্রিমোর।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে জল্পনা চলছে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে দলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি কথা বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তালিকাও পাঠিয়েছেন তাঁরা। সেই তালিকায় মমতা কাটাছেঁড়া করেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে সাংগাঠনিক রদবদল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
রাজ্যের ৬ কেন্দ্র সম্প্রতি উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই সবকটি আসনেই তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি। ফলে বৈঠকে তৃণমূলের এই উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে দলের নেতাদের তিনি বিশেষ কোনও বার্তা দেন কি না, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকেই তৃণমূলের নেতাদের হাতে বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে যাব।