• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

একমঞ্চে খালেদা-ইউনূস, ৬ বছর পর জনসমক্ষে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

২০১৮-র পর ২০২৪। ৬ বছর পরে জনসমক্ষে এলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

২০১৮-র পর ২০২৪। ৬ বছর পরে জনসমক্ষে এলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। মঞ্চে ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। তিনি ডায়াবেটিস ও লিভার সিরোসিসেও ভুগছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আমন্ত্রিত অতিথিদের আসনে পাশাপাশি বসেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং খালেদা জিয়া। হেসে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁদের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতারাও জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। খালেদার সঙ্গে কথা বলেন গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান তিন নেতা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও প্রাক্তন কনভেনর সারজিস আলমকেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দেখে কেঁদে ফেলেন। সশস্ত্র বাহিনীর কোনও অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ১২ বছর পরে অংশ নিলেন খালেদা। ইউনূস বলেন, আমরা আজ বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত বোধ করছি কারণ বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে। আমরা সবাই খুশি যে তিনি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘শহিদ’ বলেও উল্লেখ করেন ইউনূস।

২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে শেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। সেদিন সিলেটে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় হাসিনা সরকার। কিন্তু হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা মকুব হয়ে যায়।

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-সহ ২৫ জন নেতা। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খানসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।