• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেলডাঙার ঘটনায় রাজ্য ও কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রকে নতুন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

বেলডাঙায় পুলিশের হাতে আটক বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। ছবি: এএনআই।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মামলা। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের উচ্চ আদালত। এ ব্যাপারে আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রকে নতুন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। গত শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একাংশ এলাকা। ইতিমধ্যে সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (আগেকার ১৪৪ ধারা)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করা হয়েছিল।

ধৃতদের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিম্ন আদালতের তরফে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলায় এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায়, ‘ঘটনার পরই কেন পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়নি?’ এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ‘সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেগুলির ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে’। মামলাকারীদের তরফে অবশ্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে ওই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, ‘এলাকার আইনশৃঙ্খলা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই’। এরপরই আগামী শুক্রবার কেন্দ্র ও রাজ্যকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার রয়েছে বলে জানা গেছে।