• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি আটক বিজেপি বিধায়ক

এই জমি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্টে অর্ডার রয়েছে। তারপরও কীকরে পৌরসভা এই জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা গড়ে তোলে। আদালতের নির্দেশ মানছে না কল্যাণী পৌরসভা।

নিজস্ব চিত্র

কল্যাণী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকার নাম কাছারিপাড়া। এই এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা। সরকারি প্রকল্প। কারখানা তৈরির কাজ শুরু করছে কল্যাণী পৌরসভা। কিন্তু এই কাজের শুরুতেই বাধা স্থানীয়দের। ঝামেলা চলছে তিনদিন ধরে।

বৃহস্পতিবার এই ঝামেলা অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা হলে ছড়াবে দুর্গন্ধ। হবে পরিবেশ দূষণ। তাই কোনোভাবেই এই কারখানা এখানে করতে দেওয়া হবে না।

ইতিমধ্যেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে পাঁচিল তৈরির কাজ। সেই কাজে বাধা দেন স্থানীয়রা। এদিন ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। বিধায়ক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের
বাক-বিতন্ডা। আচমকা স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, স্থানীয়রা পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকে ইট। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এমনকি ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল।

স্থানীয়দের দাবি, যে জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা হচ্ছে সেই জমি তাঁদের জমি। কিছুতেই সেই জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা করতে দেওয়া হবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন পুলিশ তাঁদের উপর লাঠি চালায়। ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কোনো ইট ছোঁড়েনি বলে দাবি স্থানীয়দের।

এই গণ্ডগোলের জেরে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়কে আটক করে পুলিশ। প্রায় ১৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিশ।

যদিও বিধায়ক অম্বিকা রায়ের দাবি, এই জমি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্টে অর্ডার রয়েছে। তারপরও কীকরে পৌরসভা এই জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কারখানা গড়ে তোলে। আদালতের নির্দেশ মানছে না কল্যাণী পৌরসভা।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই কড়া পুলিশি প্রহরায় শুরু হয় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কারখানার পাঁচিল তৈরির কাজ। এলাকায় নজরদারি চালাতে বসানো হয়েছে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। থমথমে রয়েছে গোটা কাছারিপাড়া এলাকা।