বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতির মতবিরোধের জেরে ধৃতদের একাংশে জামিন বাতিল হলো। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের জামিন মামলায় দুই বিচারপতির ভিন্ন মত। বুধবার শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত ৯ জন অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা-সহ চারজনের জামিন মামলার রায়দান ছিল বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের জামিন নিয়ে দুই বিচারপতি দ্বিমত দেখা যায় । নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচ জনের জামিন নিয়ে ভিন্নমত দেখা যায় হাইকোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকিদের জামিন মঞ্জুর করেন এক বিচারপতি। অন্য বিচারপতি জামিনের বিরোধিতা করেন। যাদের জামিন বাতিল হল তাদের মামলাটি চলে যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। প্রধান বিচারপতি একজন সিনিয়র বিচারপতি নিয়োগ করবেন বলে জানা গেছে । সেই সিনিয়র বিচারপতির কাছে এই মামলার শুনানি হবে। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ওই মামলায় পাঁচজনের জামিনের আবেদন বাতিল হবে না, খারিজ হবে? তার সিদ্ধান্তের উপর এই নির্ভর করছে সিবিআই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ পাঁচ জনের ভবিষ্যৎ। সিবিআই স্পেশাল আদালতে দ্রুত মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডল টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কাজে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছিলেন। এই চার জনের জামিন নিয়ে একমত দুই বিচারপতিই।
সিবিআইয়ের মামলায় তাঁরা জামিন পেলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিন নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির। বিচারপতি অপূর্ব রায় সিংহ জামিনের বিরোধিতার করায় এই মামলার রায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে গেল। প্রধান বিচারপতি মামলাটি তৃতীয় বেঞ্চে পাঠাবেন। সেখানেই পার্থদের জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। জামিন চেয়ে এর আগে একাধিক বার হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।