মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় যাওয়ার পথে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দিল পুলিশ। কৃষ্ণনগরে তাঁকে আটকানো হয়। বাধা দেওয়ায় তিনি রাস্তাতেই বসে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ নামানো হয়। এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই আবহে সুকান্তকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। সুকান্ত সহ আরও কয়েকজন বিজেপি নেতাকে আটক করতে দেখা যায় পুলিশকে। যদিও বিজেপি নেতারা দাবি করেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর প্রতিবাদে ধুবুলিয়ায় পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কলকাতাতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। সুকান্তকে বুধবারই ছেড়ে দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বেলডাঙা। একাধিক এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এরপরই রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে বেলডাঙায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সেখানেও যাওয়ার জন্য কনভয় নিয়ে বের হন সুকান্ত। তবে কৃষ্ণনগরে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। সুকান্তকে আটকানোর জন্য ব্যারিকেড নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। এরপর রাস্তাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত। রাস্তাতেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানান হয়, বেলডাঙায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, যেখানে সুকান্তকে আটকানো হয়েছে সেখান থেকে বেলডাঙার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। বেলডাঙার এত দূরে কেন সুকান্ত মজুমদারের কনভয় আটকানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদারকে আটক করার প্রতিবাদে কলকাতাতেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। প্রতীকী হাতকড়া নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরোধ করে তাঁরা। পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, ”পুলিশ বলছে গেলে অশান্তি হবে তাই আটকানো হচ্ছে। তাহলে পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে যাক। পুলিশ সঙ্গে থাকুক। তাতেও রাজি হচ্ছে না প্রশাসন। পুলিশের হাতে বন্দুক কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিয়েতে ফাটানোর জন্য?”
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব জানান, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অশান্তি এড়াতে পুলিশ পিকেট রয়েছে। বুধবার অবধি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই তা চালু হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।