• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 November, 2024

হুইলচেয়ারে বসেই শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরব ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার ‘প্রধান’ রিয়া

ছোট থেকে ভালোভাবে হাঁটতে পারে না রিয়া। হুইলচেয়ারে বসেই এদিক-ওদিক যেতে হয় তাঁকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ রিয়ার এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।

ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রতীকী প্রধানের পদে বসানো হল এক বিশেষ ভাবে সক্ষম স্কুলছাত্রীকে। বুধবার বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ইউনিসেফের তরফে ‘কিডস টেকওভার’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। সেই কর্মসূচির আওতায় বুধবার সম্মানীয় এই পদ অলঙ্কৃত করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের বিদ্যানগর গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া সরদার।

পদ গ্রহণের পরই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় রিয়া। ইউনিসেফের চিফ ড. মঞ্জুর হোসেনের কম্পিউটার থেকে সংস্থার বিভিন্ন আধিকারিকদের একটি মেল পাঠান রিয়া। চেয়ারে বসার পর রিয়া সিদ্ধান্ত নেয়, ইউনিসেফের আধিকারিকরা বছরে একবার শিশুদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত শিশু উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ছোট থেকে ভালোভাবে হাঁটতে পারে না রিয়া। হুইলচেয়ারে বসেই এদিক-ওদিক যেতে হয় তাঁকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ রিয়ার এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। চেয়ারে বসে রিয়া বলে, আমার কথা ভেবে স্কুলের টয়লেটে র‍্যাম্প করা হয়েছে। ক্লাসগুলোও নীচেরতলায় করতে পারছি।

ইউনিসেফের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রিয়ার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে। শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ‘শোনো আগামীকে’ কমর্সূচির অংশ হিসেবে বার্ষিক সভার আয়োজন করা হবে। ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, শিশুদের মতামত মেনেই আমরা কাজ করব। এর ফলে আমরা ওদের সমস্যা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমাধান নিয়েও আলোচনা করতে পারব।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে চুয়ানপুর বিদ্যানিকেতন গার্লস হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌমিকি চক্রবর্তীও কিডস টেকওভার কর্মসূচিতে অংশ নেয়। স্থানীয় একটি কমিউনিটি বেসড চ্যানেলের সম্পাদক পদে বসে সৌমিকি সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতি মাসে অন্তত একটি শিশু-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে খবর সম্প্রচার করা হবে।