বিটকয়েন দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির। বুধবার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেন, বিটকয়েন কেলেঙ্কারিতে শুধুমাত্র মারাঠা নেত্রী তথা শরদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে বা নানা পাটোলেই জড়িত নন, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও জড়িত। বুধবার মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোট চলাকালীন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে বিজেপি।
মহারাষ্ট্রে ভোটযুদ্ধ চলাকালীন বিটকয়েন নিয়ে তরজা তুঙ্গে উঠল। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মহাবিকাশ আগাড়ি এবং মহায়ুতি জোটের নেতারা। শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে বিটকয়েন প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।পাটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে সম্বিত দাবি করেন, ‘সুপ্রিয়া সুলের চারটি অডিও মিলেছে। বুধবার সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে। তাঁর কণ্ঠ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, এই অভিযোগ তো আমার নয়। আমার কণ্ঠস্বরও নয়। তাঁর নিজের ভাই অজিত পাওয়ার বলছেন যে, এটা তাঁর কণ্ঠস্বর।’
সম্বিত পাত্র আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি সুপ্রিয়া সুলে কী নির্দেশ দিচ্ছেন। শুধু সুপ্রিয়া নন, আপনারা দেখতে পাবেন নানা পাটোলে কীভাবে একজন কাউন্সিলার অমিতাভ গুপ্তাকে নির্দেশ দিচ্ছেন।’ বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, বার্তালাপে যা মিলেছে তাতে স্পষ্ট সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলে ছাড়াও এর পিছনে আরও বড় মাথারা রয়েছেন। এরপরেই সরাসরি ১০ জনপথকে আক্রমণ করে সম্বিত বলেন, ‘দেশে লুট ও দুর্নীতির আড়ালে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র কথাবার্তার মাধ্যমে ২৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার পুনের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ পাটিল প্রথম অভিযোগ তোলেন সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলের বিরুদ্ধে। সেই সময়ে লেনদেন কম দেখানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ পাটিলকে। গ্রেপ্তারির পরই এই মামলায় সুপ্রিয়া সুলে ও নানা পাটোলের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ক্রিপ্টোকারেন্সির ওই টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। এই ঘটনায় ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি।পাটিলের দাবি, এই দুর্নীতির মাধ্যমে আসা অর্থ নির্বাচনী প্রচারে খরচ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রিয়া সুলে।
সংবাদ সংস্থার কাছে সুলে বলেন, আমি মানহানি ও ফৌজদারি মামলা করেছি। আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন সুপ্রিয়া সুলে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন আগে যে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই কণ্ঠস্বর আমার নয়। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে সব মিথ্যা। আমি অভিযোগ খারিজ করছি। আমি যে কোনও পাবলিক ফোরামে বসতে রাজি। যদিও তাঁর তুতো ভাই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, ‘অডিও ক্লিপে তিনি তাঁর বোনের কণ্ঠস্বর চিনতে পেরেছেন। পাওয়ারের কথায়, আমি দুজনেরই আওয়াজ চিনি এবং চিনতে পেরেছি।’