গার্ডেনরিচ শিপ ইয়ার্ডকে ১৩টি ভেসেল তৈরির ওয়ার্ক অর্ডার দিল রাজ্য সরকার। এই অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক জলযান তৈরিতে মোট ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। এগুলি পরিবেশবান্ধব হবে।
মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পরিবহণ ভবনে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়। জলযানগুলি ১০০ এবং ২০০ সিটের হবে। ১৩টি জলযানের মধ্যে ৭টি তৈরি হবে ১০০ সিটের এবং ৬টি হবে ২০০ সিটের। জলযানগুলি হবে সম্পূর্ণ বাতানুকূল। পরিবেশবান্ধব এই ভেসেলগুলি কলকাতা সংলগ্ন জেটি ঘাটগুলো থেকে চলবে বলে জানানো হয়েছে। আড়াই বছরের মধ্যে ভেসেল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। চুক্তিতে বেধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে চার্জিং স্টেশনও।
ইতিমধ্যেই একটি ২০০ আসনের বৈদ্যুতিক জলযান তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা জলপথে চলাচল শুরু করবে। দক্ষিণেশ্বর–বেলুড়মঠের মধ্যে এই জনযানটি চলাচল করতে পারে। মিলেনিয়াম পার্কে একটি চার্জিং স্টেশন তৈরি হয়েছে।
পরিষেবা সচল রাখতে তৈরি করা হবে ১৩টি চার্জিং স্টেশন। ২০০ সিটের দোতলা জলযানগুলি ৩০ মিটার লম্বা ও ৮–১০ মিটার চওড়া। এগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার। ১০০ সিটের জলযানগুলি ২৫ মিটার লম্বা ও ৮ মিটার চওড়া। এগুলির গতিবেগ ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার।
জল পরিবহণকে ঢেলে সাজাতে ও গঙ্গা দূষণ রুখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে দূষণহীন জল পরিবহণের পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এদিনের অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব সৌমিত্র মোহন, জয়েন্ট প্রোজেক্ট ডিরেক্টর তাপস বিশ্বাস সহ আরও অনেকে।
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব দূষণহীন এই ভেসেলগুলি কলকাতা সংলগ্ন জেটি ঘাটগুলো থেকে চলবে। একটা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই উদ্বোধন হবে। এরপর এই ১৩টাও নামবে। হবে চার্জিং স্টেশনও। জল পরিবহণকে ঢেলে সাজানো হবে।’