পুলিশের এনকাউন্টারে খতম কর্নাটকের মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী বিক্রম গৌড়া। কর্নাটকের উদুপি জেলার কাবিনালের জঙ্গলে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা বিক্রমকে হত্যা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের পুলিশ বাহিনী প্রভাবশালী নকশাল নেতা বিক্রম গৌড়ার মুখোমুখি হয়। পুলিশের নজরে পড়তেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিক্রম গৌড়া। পাল্টা পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে হত্যা করে।
বিক্রম গৌড়ার সঙ্গে থাকা তাঁর তিন সহযোগী অবশ্য পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশকর্মীরা ওই অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন পরমেশ্বর। কয়েক মাস ধরেই পুলিশ বাহিনী বিক্রম গৌড়ার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। তার গতিবিধি সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করে অবশেষে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।
পরমেশ্বর বলেন, আমরা ভেবেছিলাম রাজ্যে নকশাল আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে রাজ্যে নকশাল নেতা রাজু ও লতার গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এরপর বাহিনী বিক্রম গৌড়ার গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিল বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বিক্রম গৌড়ার দল পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল। তাই পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। রাজ্য সরকার এর আগেও আলোচনার মাধ্যমে তুমাকুরু জেলার পাভাগাড়া অঞ্চলে বহু নকশালকে মূলস্রোতে নিয়ে এসেছিল। এই মূলধারায় আনার প্রচেষ্টা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। নকশালদের মধ্যে যারা অস্ত্র সমর্পণ করতে চায়, রাজ্য সরকার তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অনুমতি দেবে।
পুলিশ গত ২০ বছর ধরে বিক্রম গৌড়ার সন্ধান করছিল। এর আগে বেশ কয়েকবার পুলিশের মুখোমুখি হলেও প্রতিবারই সে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। পুলিশ একাধিকবার তাকে চিহ্নিত করে অভিযান চালালেও ধরতে পারেনি। অবশেষে পুলিশের গুলিতে বিক্রমের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।