টিউশন পড়ানোর নাম করে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেপ্তার এক শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় যথেষ্ঠ উত্তেজনা থাকায় পুলিশ কড়া নজর রাখছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার সুলতানপুরের দুধপুকুরপাড়ায় নিজের বাড়িতেই অভিযুক্ত শিক্ষকের কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রতিদিন আসে। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই মেয়েটি কোচিং সেন্টারে যায়। অন্যদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হলেও ওই মেয়েটিকে আটকে রাখে অভিযুক্ত শিক্ষক।
ওই ছাত্রীকে পড়ানোর অছিলায় আটকে রেখে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানায় মেয়েটি। দ্রুত নির্যাতিতার মা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ওইদিন দুপুরে এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে তাকে ঢুকে মারধর করে। ওই শিক্ষকের বাবা-মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয়। সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় তিন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম – সোমনাথ হাজরা, সুমিত তাঁতি ও হীরক জানা। যদিও আদালত তিনজনকেই শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে। সপ্তাহে একদিন করে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন অভিযুক্তকে।
মারধর ও বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবার। শ্লীলতাহানির বিষয়টি মানতে চাননি তাঁর দাদা। তাঁর যুক্তি, পড়া না করায় ছাত্রীকে মারতে যায় ভাই। তার গায়ে হাত লেগে যায়। সামান্য বিষয় নিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।