মেয়াদের আগেই পাঠ্যক্রম শেষ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা! এমনটাই জানাল ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই উচ্চশিক্ষার্থীরা ৪ বছরের স্নাতক কোর্স শেষ করতে পারবে মাত্র ৩ বছরে এবং ৩ বছরের স্নাতক কোর্স মাত্র ২.৫ বছরে।
সম্প্রতি চেন্নাইয়ের আইআইটি মাদ্রাসে একটি বৈঠকে এমনটাই শোনা গেল ইউজিসির চেয়ারম্যান এম. জগদীশ কুমারের কথায়। ‘সাউথ জোন কনফারেন্স ফর অটোনোমাস কলেজেস অন ইমপ্লিমেন্টেশন অফ এনইপি ২০২০’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশাবলীর উপর ভিত্তি করে আইআইটি মাদ্রাসের অধিকর্তা ভি. কামাকোটির নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি এই সুপারিশটি দিয়েছিল। সম্প্রতি সেটি ইউজিসির অনুমোদন লাভ করেছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবে সেই সব শিক্ষার্থীরা, যারা দ্রুত শিক্ষালাভে পারদর্শী, অর্থাৎ ‘ফাস্ট লার্নার’।
একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে কত দ্রুত নিজের পাঠ্যক্রম শেষ করে স্নাতক হওয়া সম্ভব – এই প্রশ্নের উত্তরে জগদীশ জানান, ‘সেই শিক্ষার্থীর মেধার উপর তা নির্ভর করছে। যদি সে চায়, দু’বছরের মধ্যে পুরো কোর্স শেষ করতে তাহলে সেটা তার পক্ষে কষ্টকর এবং পরিশ্রমদায়ক হতে পারে। তাই আমাদের মনে হয়েছে, যে সব পড়ুয়ারা যথার্থ অর্থেই প্রতিভাবান, তাঁরা দ্রুত কোর্স শেষ করতে পারে ঠিকই, তবে তা মূল মেয়াদের ছ’মাস কিংবা বড়জোর এক বছর আগে। তবে যে সব পড়ুয়া চান নির্ধারিত পূর্ণ সময়ের মধ্যেই কোর্স শেষ করতে, তাহলে তাঁরা তা-ও করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসি-র তরফে ইতিমধ্যেই কোর্সের মধ্যে বহুমুখী প্রবেশ ও প্রস্থানের বিকল্প রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এরও সুবিধা নিতে পারে। তারা প্রয়োজনমতো কোর্স থেকে বিরতি নিতে পারে এবং পরে ফিরে এসে এটি সম্পূর্ণ করতে পারে। একইসঙ্গে সময়সীমা বেছে নেওয়ার পরে তা আবার পাল্টানোও যাবে।’
উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা যাতে সহজলভ্য, স্বচ্ছ এবং উন্নতির সহায়ক হয়ে ওঠে, সেইদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নজর রাখা উচিত – এমনটাই মত তাঁর।