গত বছর জুন মাসে কর্নাটকের গডম্যান স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযােগে চার্জ গঠিত হয়েছিল। সেই বিতর্কিত ধর্মগুরু বেঙ্গালুরুতে একটি শিক্ষায়তন চালান।
গত সােমবার জনার্দন শর্মা নামে এক বক্তি ও তাঁর স্ত্রী গুজরাত হাইকোর্টে অভিযােগ দায়ের করেছেন, ২০১৩ সালে তাঁদের চার কন্যাকে সেখানে ভর্তি করেছিলেন। তাদের বয়স ছিল সাত থেকে ১৫ বছরে মধ্যে। পরে তাঁরা শুনতে পান মেয়েদের বেঙ্গালুরুতে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাঁরা নাকি এখন আমেদাবাদে যােগিনী সর্বজ্ঞপীঠম নামে এক শিক্ষায়তনে আছে। একথা শুনে তাঁরা মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আমেদাবাদের শিক্ষায়তনের কর্তারা তাঁদের দেখা করতে দেননি। তখন এই দম্পতি পুলিশের কাছে অভিযােগ করেন। পুলিশের সহায়তায় তাঁরা দুই নাবালিকা কন্যাকে ফেরত পান। কিন্তু বড় দুই মেয়ে তাঁদের সঙ্গে আসেনি। তাদের একজনরে নাম লােপামুদ্রা (২১) ও অপরজনের নাম নন্দিতা (১৮)।
গুজরাত হাইকোর্টে ঐ দম্পতির অভিযােগ, লােপামুদ্রা ও নন্দিতাকে আশ্ৰম কর্তৃপক্ষ দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছে। তাদের ঘুমােতে দেয়া হচ্ছে না। হাইকোর্টে জনার্দন শর্মা ও তাঁর স্ত্রী আবেদন করেছেন, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হােক, যেন তাঁদের দুই কন্যাকে আশ্রম থেকে উদ্ধার করা হয়। আরও কয়েকজন নাবালিকা এখনও আশ্রমে আটকে আছে। পুলিশ তাদের ব্যাপারেও তদন্ত করুক।