হঠাৎই শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর বেশকিছু সদস্য মোহনবাগান ক্লাবতাঁবুতে হাজির। কোনও কথাবার্তা নেই সেনাবাহিনী অ্যাকশনে নেমে পড়লেন কিয়স্ক ভেঙে ফোর জন্য। সাধারণত সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ময়দানে কোনও ক্লাব কোনওকিছু করতে পারে। কিন্তু জানা গেল, মোহনবাগান ক্লাব সম্প্রতি কিছু অবৈধ স্টল তৈরি করেছে। তাই ভেঙে দেওয়া হল। এমনকি, মাঠের ধারে হোর্ডিং ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সবুজ-মেরুন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ফুটবলারদের আইস নেওয়ার ও বিশ্রামের জন্য যে জায়গাটা নির্দিষ্ট ছিল, সেটাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিনা অনুমতিতে মোহনবাগান ক্লাব এই কাজটি করেছে। সেই কারণেই তা ভেঙে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কয়েক বছর আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শৌচাগার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তারাও নাকি বিনা অনুমতিতে এই কাজটি করেছিল। আরও জানা গেছে কবাডি টেন্টের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছিল সেনাবাহিনী।
মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে কৌশিক কোনার বলেছেন, খবর পেয়েই তাঁবুতে ছুটে আসি। এসে দেখি সেনাবাহিনীরা সেখান থেকে চলে গিয়েছেন। তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। কিছুদিন আগেই আমাদের মার্চেন্ডাইজ বিক্রির জন্য যে অস্থায়ী কিয়স্ক নির্মাণ করা হয়েছিল, তা ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাঠের ধারে ফ্লেক্স, হোর্ডিংও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে, যখন তাঁবুতে প্রবেশ করছিলাম, তখন দেখেছিলাম, চারজন সেনাবাহিনীর সদস্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারপর তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তাঁদের অভিমত, যেহেতু সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি, তাই এই অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
নিয়মানুসারে পুরো ময়দানটা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকে। স্থায়ীভাবে তাঁবু নির্মাণ করা যায় না কোনও ক্লাবের পক্ষ থেকে। ১ থেকে ১৫ অক্টোবর ময়দান পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। এমনকি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ করেন কোনওরকম অবৈধ নির্মাণ বা কাজ হচ্ছে কিনা। বলা হয়েছে, ময়দান চত্বরে কোনও ক্লাবের তাঁবুতে আগুন ধরানো যাবে না।
এদিন যখন সেনাবাহিনী মোহনবাগান তাঁবুতে যান, তখন দেখা যায়, বেশকিছু নির্মাণকাজ চলছিল। সেটাও থামিয়ে দেওয়া হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত মোহনবাগানের কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তবে দু’একদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন মোহনবাগানের কর্মকর্তারা। যাতে ভুল বোঝাবুঝি তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নেওয়া যায়।