‘উস্কানিমূলক’ পোস্ট করা হচ্ছে সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের এক্স হ্যান্ডল থেকে। এমনই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের। তারা এই ব্যাপারে এক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে বলেও জানা গিয়েছে। সেলিমের বক্তব্য, ‘আমায় ইমেল করে এক্স কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তাঁরা কোনও ত্রুটি খুঁজে পাননি। আমাকে আইনি পরামর্শ নিতেও বলেছেন তাঁরা।’
শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএম-এর রাজ্য হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন সেলিম। সেখানে তিনি এই সংক্রান্ত কিছু অডিও ক্লিপিং শোনান (যার সত্যতা দৈনিক স্টেটসম্যান যাচাই করেনি)। আরজি কর কাণ্ডের জের টেনে এনে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলেছে, আমি নাকি বলেছি তারা গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছে। আমি কখনওই এমন কিছু বলিনি। আমি বলেছি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে এক বার বলেছেন অসুস্থ, এক বার বলেছেন সুইসাইড।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ পুরোটাই নিজের গায়ে মাখছে। যেন ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি!’
এই সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি বিজেপি এবং তৃণমূলকে একই সমীকরণে ফেলছেন। তিনি বললেন, ‘দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী যা করছেন, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ যা করছেন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও একই কাজ করছে! পুলিশ চাইছে প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে।’
এই অভিযোগে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তাদের দাবি, সিপিআইএম এখন ‘মহাশূন্য’-এর দিকে যাচ্ছে, তাই এই সমস্ত বলে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেলিমকে তোপ দেগে জানান, ‘উনি উস্কানি ছড়ালে পুলিশ কি আঙুল চুষবে নাকি?’
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে সিপিআইএম নেতা কলতান দাশগুপ্তকে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। পরে যদিও তিনি জামিনে মুক্ত হন। কলতান-মামলার তদন্তে নেমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ সপ্তাহখানেক আগে বাজেয়াপ্ত করে সঞ্জয় ঘোষ (বাপ্পা) বলে সেলিম-ঘনিষ্ঠের মোবাইল ফোন। সেলিমের অভিযোগ, পুরোটাই একই সুতোয় বাঁধা।